নবাবহাটে উল্টে গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
এক দিনে শহরে দু’টি দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠল শহরের পথ নিরাপত্তা নিয়ে। শনিবার বর্ধমানের নবাবহাট ও স্টেশন লাগোয়া পুরসভা ভবনের সামনে দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় আহত হন ৫ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের আঘাত গুরুতর। বেপরোয়া গতির জেরেই দুর্ঘটনা দু’টি ঘটেছে বলে এলাকাবাসী ও পথচারীদের দাবি।
কিছু দিন আগে বর্ধমানের তেজগঞ্জে জাতীয় সড়কে অনুষ্ঠান সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন জনের। এ দিন ফের জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটল। নবাবহাটে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় জখম হলেন চার জন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের দিক থেকে আসা একটি গাড়ি নবাবহাটে ঢোকার আগে বাঁ দিকের ডিভাইডারে ধাক্কা দিয়ে পাল্টি খেয়ে উল্টো দিকের রাস্তায় পড়ে যায়। গাড়িতে চার জন ছিলেন। তাঁরা আহত হন। তাঁদের মধ্যে চালকের আঘাত গুরুতর। তাঁকে জাতীয় সড়কের পাশে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রচণ্ড গতিতে আসছিল ওই গাড়িটি। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা দিয়ে সেটি উল্টে যায়।
ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে ফের দুর্ঘটনা ঘটে বর্ধমান পুরসভা ভবনের সামনে। দুপুর দেড়টা নাগাদ সেখানে একটি বাস এক বৃদ্ধকে ধাক্কা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নবাবহাট থেকে বড়শুলের দিকে যাওয়া বাসটি পুরসভার উল্টো দিক থেকে ছেড়ে কার্জন গেটের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ে ওমপ্রকাশ মাখানি নামে ওই বৃদ্ধ রাস্তা পেরোচ্ছিলেন। বাসের ধাক্কায় রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্যস্ত রাস্তায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করলেও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেই। মাসখানেক আগে এই রাস্তাতেই দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের কথায়, ‘‘বর্ধমান স্টেশনের সামনে বন্দোবস্ত থাকলেও পুরসভার সামনে কোনও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ হয় না। ফলে, অনিয়ন্ত্রিত গতির ফল ভুগতে হয় অনেককে।’’
পুলিশ জানায়, বেপরোয়া গতি রুখতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কড়া নজরদারি চলবে।