West Bengal Lockdown

খাবার পৌঁছে দিচ্ছে কমিউনিটি কিচেন

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৩ জন শিক্ষক-সহ বিভিন্ন স্তরের প্রায় শ’খানেক বাসিন্দাকে নিয়ে বছর খানেক আগে এই সংগঠন তৈরি হয়েছে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২০ ০১:০৬
Share:

খাবার নিতে দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষজন। জামুড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র

সঙ্কটের সময়ে ব্যক্তিগত বা যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন ভাবে দুঃস্থদের সাহায্য করে চলেছেন অনেকে। শুধু খাদ্যসামগ্রী বিলি করে নয়, রান্না করা খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন অনেকে। একই ভাবে আসানসোল মহকুমার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও ‘কমিউনিটি কিচেন’ গড়ে দুঃস্থদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। সোমবার থেকে তারা পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় এই ব্যবস্থা চালু করেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৩ জন শিক্ষক-সহ বিভিন্ন স্তরের প্রায় শ’খানেক বাসিন্দাকে নিয়ে বছর খানেক আগে এই সংগঠন তৈরি হয়েছে। সংগঠনের অন্যতম কর্ণধার জামুড়িয়ার তিলকা মাঝি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়ক জানান, তাঁরা জবা গ্রাম প্রাথমিক স্কুল প্রাঙ্গণে রান্নার ব্যবস্থা করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অতনুকুমার মণ্ডল জানান, অভিভাবক স্বপন কেওড়া ও দীপক দাস কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সাহায্য জবা গ্রামের পাঁচটি পাড়ায় সমীক্ষা চালিয়ে প্রায় চারশো জন দুঃস্থের নামের তালিকা তৈরি করেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রসূতিও আছেন।

অতনুবাবু বলেন, ‘‘এর পরে সিদ্ধান্ত নিই, দুপুরের খাবার রান্না করে বিলি করা হবে। সেই মতো প্রসূতি-সহ বয়স্ক মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। ‘লকডাউন’ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।’’ এ দিন এই কর্মসূচির সূচনা করেন বিডিও (জামুড়িয়া) কৃশাণু রায়। উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মেয়র পারিষদ (জল) পূর্ণশশী রায়, মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) অঞ্জনা শর্মা প্রমুখ। এই কাজের প্রশংসা করেছেন জামুড়িয়ার স্কুল পরিদর্শক অরিজিৎ মণ্ডল।

Advertisement

এ দিকে, রানিগঞ্জের সিহারসোল ইন্ডিয়ান ক্লাবের উদ্যোগে ২৪ মার্চ থেকে দৈনিক প্রায় আড়াইশো দুঃস্থকে খাওয়ানো হচ্ছে। ক্লাবের সদস্য পাপ্পু গড়াই জানান, তাঁরা নিজেরাই রান্না করে স্টেশন, মহাবীর কোলিয়ারি এলাকা, জোড়াতলপাড়া, অশোকপল্লি, অশোক কলোনি, জিরাডাঙা-মাঝিপাড়ায় দুপুরের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। এ ছাড়া, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে অণ্ডালের উখড়া থেকে খান্দরার বিভিন্ন ভবঘুরেদের পাত পেড়ে খাওয়ানো হচ্ছে। সংগঠনের সভাপতি দীপা রায় জানান, ২৭ এপ্রিল থেকে এই ব্যবস্থা চলছে। তাঁদের তরফেও ২৪ এপ্রিল থেকে দুপুরে দু’শো জনকে রান্না করা খাবারের প্যাকেট বিলি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, রানিগঞ্জের জেকে নগর বয়েজ় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement