চলছে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আসানসোলের ঢাকেশ্বরী, রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর এবং দুর্গাপুরে ডিপিএলের কিছু জমিতে শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সে জন্য জমিগুলি তুলে দেওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগমের (ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন) হাতে। তার আগে শুক্রবার, নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুরাগ শ্রীবাস্তব পশ্চিম বর্ধমানের তিনটি এলাকা পরিদর্শন করলেন। সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের জেলা আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী। তবে শিল্প স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েও বণিকসভা শিল্প স্থাপনে কিছু অসুবিধার কথা জানিয়েছে।
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল পুর-এলাকার ঢাকেশ্বরীতে দীর্ঘদিন বন্ধ একটি ‘কটন’ মিলের জমি খাস হয়ে গিয়েছে। সেখানে প্রায় ১৯২ একর জমি রয়েছে। তা নিগমকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া, রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পতালুক লাগোয়া আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) ৩১০ একর এবং দুর্গাপুরে ডিপিএলের প্রায় একশো একর জমি নিগমের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ দিকে। এই জমিগুলিতেই শিল্প হবে বলে দাবি। এ দিন পরিদর্শনের পরে অনুরাগ ও তমোজিৎ অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) এস অরুণ প্রসাদ বলেন, “জেলায় নতুন শিল্পতালুক গড়তে রাজ্য সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ দিন ডব্লিউবিআইডিসি সে জমিই পরিদর্শন করল।”
এ দিকে, বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে ‘ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজ়’। তবে তার পরেও, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শচীন রায় জানান, জেলায় এক লপ্তে জমি পাওয়া খুবই কঠিন। সরকার জমি দিতে পারছে না। শিল্পোদ্যোগীরা নিজ উদ্যোগে ব্যক্তিগত জমি কিনতে গেলেও সমস্যা হচ্ছে। ইচ্ছে থাকলেও ইতিমধ্যেই দু’জন জমির অভাবে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করতে পারছেন না। পানাগড়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের শিল্পতালুক আছে। সেখানে নানা সুযোগ পাচ্ছেন শিল্পোদ্যোগীরা। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে তিনটি জায়গায় শিল্পোদ্যোগীদের জন্য জমির ব্যবস্থা করা হলে, উপকৃত হবে জেলার অর্থনীতি, মনে করছে সংশ্লিষ্ট বণিক সংগঠনটি।