ধাত্রীগ্রামে তন্তুজের শাড়ি কেনা। —নিজস্ব চিত্র।
সামনে পুজো। তবু অনেক পরিবারেই ছেলেমেয়ের নতুন জামা কিনে, বাবা-মায়ের আর পুজোর কিছু কেনা হয় না। তাঁদের জন্য ৭০ থেকে দু’শো টাকার মধ্যে রকমারি শাড়ি নিয়ে দুয়ারে পৌঁছে যাবে গাড়ি। রবিবার কালনা ১ ব্লকের ধাত্রীগ্রামের তন্তুজের শাড়ি কেনার শিবিরে এসে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। নতুন কর্মসূচির নাম ‘দুয়ারে শাড়ি’।
মন্ত্রীর দাবি, বহু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম। অথচ পুজোয় নতুন একটা শাড়ির সাধ থাকে। একটি গাড়িতে ‘দুয়ারে শাড়ি’ লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে ধাত্রীগ্রাম, সমুদ্রগড় রেলবাজার, নাদনঘাট মোড়ের মতো জনবহুল এলাকায় বিক্রি করা হবে শাড়ি। দামও থাকবে নাগালে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গরিব মানুষ যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই তাঁতিদের সুরাহা হবে, দাবি তাঁর। পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন বর্তমানে তন্তুজের স্পেশাল অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন। এ দিন তিনি জানান, ত্রাণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বছরে তিন লক্ষ শাড়ি, প্রচুর লুঙি, ধুতি তন্তুজের মাধ্যমে কেনা হয়। যেগুলি তৈরি করেন তাঁতিরা। এ দিন তন্তুজের লক্ষ্য ছিল পুজোয় নিজেদের বিভিন্ন বিপণন কেন্দ্রে বিক্রির জন্য সাধারণ তাঁতিদের কাছ থেকে ভাল মানের শাড়ি কেনা। শিবিরে তাঁতিদের আনা বিভিন্ন শাড়ির মাপ, সুতোর ব্যবহার দেখে শাড়ি কেনা হয়। একটি যন্ত্রে চোখ রেখে শাড়িতে কী ভাবে সুতোর ব্যবহার হয়, তা পরখ করেন মন্ত্রী।
তিনি জানান, মানের সঙ্গে তন্তুজ আপস করবে না। তন্তুজের সঙ্গে যুক্ত কোনও আধিকারিক, কর্মী খারাপ মানের শাড়ি কিনলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্ধারিত মানের শাড়ি নিয়ে শিবিরে এলে কোনও তাঁতিকে ফেরানো হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি। শিবির থেকে ৯১ জন তাঁতির কাছ থেকে কেনা হয় ১৯৫২টি শাড়ি। যার অর্থমূল্য ১৮ লক্ষেরও বেশি। শিবিরে হাজির ছিলেন সংস্থার মার্কেটিং অফিসার রথীন ঘোষ। মন্ত্রী বলেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমান থেকে জামদানি, টাঙ্গাইল শাড়ি কেনার সঙ্গে সাধারণ তাঁতিদের কাছ থেকে ধনেখালি থেকে বেগমপুরি, শান্তিপুর, ফুলিয়া, বিষ্ণুপুর থেকে বালুচরি শাড়ি কিনবে তন্তুজ।’’