আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্র থেকে রাজ্য, প্রশাসনের কর্তা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা প্রায় প্রতি দিনই করোনা টিকার ‘বুস্টার’ ডোজ় নেওয়ার জন্য আর্জি জানাচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে জেলায় টিকার কোনও ডোজ়ই নেই! পাশাপাশি, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় প্রায় আড়াই হাজার বুস্টার ডোজ় ফেলে দিতে হয়েছে বলে খবর!
শুক্রবার জেলায় হাম ও রুবেলা প্রতিষেধক দেওয়ার নানা পরিকল্পনার কথা জানান জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) এস অরুণ প্রসাদ এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) শেখ মহম্মদ ইউনুস। সেখানেই করোনা টিকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, ইউনুস বলেন, “জেলায় এই মুহূর্তে করোনা রোগীর সংখ্যা নেই বললেই চলে। করোনার কোনও টিকা মজুতও নেই।” তাঁর সংযোজন: “কবে তা পাওয়া যাবে, এখনই বলা সম্ভব নয়।”
তা হলে এই পরিস্থিতিতে জেলার বাসিন্দারা করোনা টিকা নিতে চাইলে কী করবেন। ইউনুস দাবি করেন, খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্তরেও করোনা টিকার ডোজ় রয়েছে নামমাত্র। ফলে, কবে তা জেলায় মিলবে, এখনই বলা যাচ্ছে না।
ঘটনাচক্রে, গত ডিসেম্বরে ব্যবহারের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় করোনা টিকার প্রায় আড়াই হাজার বুস্টার ডোজ় ফেলে দিতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন এমনটা। সিএমওএইচ-এর দাবি, নাগরিকেরা তা নিতে আসেননি। এ-ও জানা গিয়েছে, জেলার প্রায় ৭৮ শতাংশ বাসিন্দা বুস্টার ডোজ় নেননি। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন আদৌ প্রচার চালিয়েছে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, প্রচারে খামতি ছিল না।
পাশাপাশি, জেলাশাসক জানান, ন’মাস থেকে ১৫ বছর বয়সিদের হাম-রুবেলা টিকা নেওয়াটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ জন্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে বিভিন্ন দল তৈরি করে প্রচার চালানো হচ্ছে। রয়েছেন আসানসোল এবং দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী ও আধিকারিকেরাও। ইউনুসও জানাচ্ছেন, ন’মাস থেকে ছ’বছর বয়সিদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে আশাকর্মীরা এই টিকা দেবেন। তার উপরে, এই টিকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের বলা হয়েছে। তা নিয়ে কর্মশালাও হয়েছে। তবে, যারা স্কুলে যায় না, তাদের চিহ্নিত করে বাড়িতে গিয়ে অথবা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।