Kazi Nazrul University

আচার্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা উপাচার্যের

আচার্য তাঁকে বরখাস্ত করার পরেই সাধন দাবি করেছিলেন, এই অপসারণ নিয়ম বহির্ভূত ও উদ্দেশ্যপূর্ণ। তিনি এ-ও জানান, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পরামর্শে তাঁকে এই পদে বসানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ ০৬:৪৪
Share:

উপাচার্যকে বরখাস্ত করেছেন আচার্য, এই খবর পেয়ে আবির-খেলায় মেতেছেন আন্দোলনকারীরা। নিজস্ব চিত্র।

আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করেছেন। এর বিরোধিতা করে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করার কথা জানিয়েছেন সাধন। পাশাপাশি, সাধনের অভিযোগ, কেউ বা কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এ দিকে, সোমবারও সাধনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং আধিকারিকদের বড় অংশই অবস্থান করেছেন। পাশাপাশি, আচার্যের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তাঁরা উল্লাসও প্রকাশ করেন।

Advertisement

আচার্য তাঁকে বরখাস্ত করার পরেই সাধন দাবি করেছিলেন, এই অপসারণ নিয়ম বহির্ভূত ও উদ্দেশ্যপূর্ণ। তিনি এ-ও জানান, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পরামর্শে তাঁকে এই পদে বসানো হয়েছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে পরামর্শ না করে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। ফলে, তিনি উপাচার্যের পদ ছাড়বেন না। উচ্চ শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রের দাবি, আপাতত সাধনকেই উপাচার্য হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন সাধন চক্রবর্তী। এ দিন তিনি বলেন, “মামলাটি আদালতে গৃহীত হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা। আচার্যের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় সংবিধানের ৩১১ (২) ধারা অনুযায়ী, আমার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” পাশাপাশি, তাঁর দাবি, ২০১৯-এর পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহ আইনের (প্রশাসন ও পরিচালন) সাত নম্বর ধারা মতে তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। সাধনের সংযোজন: “আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। খবর পেয়েছি, আমার অফিসে কেউ বা কারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।”

Advertisement

এ দিকে, এ দিনও বিক্ষোভ অবস্থান হয়েছে। তবে আচার্যের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সকাল থেকে বিক্ষোভকারী ও পড়ুয়াদের একাংশ সবুজ আবির খেলেন ও মিষ্টি খেয়ে আনন্দোৎসব করেন। শিক্ষকদের তরফে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সত্যের জয় হয়েছে। সকলেই খুশি।” পাশাপাশি, আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ওয়েবকুপার জেলা সম্পাদক বীরু রজক বলেন, “আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। হাই কোর্টের রায়ের পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement