কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।
আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে এ বার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। মামলাটি গৃহীত হলেও, শুনানির দিন এখনও ঠিক হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এ দিকে, মামলার কথা জানা না থাকলেও, বিক্ষোভ-অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রসঙ্গ-সহ সামগ্রিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে, তাঁরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।
কাজী নজরুল বিশ্বিদ্যালয়ের অচলাবস্থা বুধবার এক মাসে পড়ল। এই অচলাবস্থা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত করতে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আমি মামলা দায়ের করেছি। মামলা গৃহীত হয়েছে। তবে শুনানির দিন এখনও ঠিক হয়নি।” তিনি জানিয়েছেন, আন্দোলন করার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে। তবে, গত ১৪ মার্চ থেকে যে ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গেট অবরুদ্ধ করে অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে, তা ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘বেআইনি’। সে কথা জানিয়েই হাই কোর্টে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু কেন বেআইনি? সে প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্যের মন্তব্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে জানিয়েছে, ধর্না দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার থাকলেও, অন্যদের অধিকার খর্ব করতে পারে, এই অবস্থায় যখন তখন যেখানে সেখানে ধর্না দেওয়া যায় না। উপাচার্যের সংযোজন: “একাংশ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী যে ভাবে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন বিঘ্নিত হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি হবে।”
উপাচার্যের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ওয়েবকুপার বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক তথা আন্দোলনের প্রধান মুখ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক সজল ভট্টাচার্য। যদিও তাঁর দাবি, পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন বিঘ্নিত হচ্ছে না। গবেষণার কাজও চলছে। তবে, ওয়েবকুপার পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক বীরু রজক বলেন, “মামলা হলেও বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচি থামবে না। উপচার্যের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।”