এই কার্যালয়ে হামলা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
দেওয়াল ‘দখল’ নিয়ে গোলমাল পাকল বর্ধমান শহর লাগোয়া খাঁপুকুর এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে দফায়-দফায় মারপিট হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের হামলায় তাঁদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, এলাকায় তাদের এক নেত্রীর বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে এলাকায় যান বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক, বর্ধমান ১ ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্যেরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগেও ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার তৃণমূল-বিজেপির গোলমাল হয়েছে। বর্ধমান শহর লাগোয়া রায়ান ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রিনু দে-র অভিযোগ, ‘‘একটি বাড়ির কর্তার অনুমতি নিয়ে দেওয়াল লেখা হয়েছিল। সেই দেওয়াল মুছে দিয়ে ‘বিজেপি’ লিখে দেওয়া হয়। তা দেখে প্রতিবাদ করলে হামলা চালানো হয়েছে।’’ তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়। উপপ্রধানের বাড়িতে ঢুকে দরজা-জানলা ভাঙচুর, পানীয় জলের পাম্প নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার ধারে থাকা দলের কার্যালয়েও ভাঙচুর করা হয়েছে। দলের তরফে বর্ধমান থানায় কয়েকজনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, বাড়ির মালিকের কাছে দেওয়াল লেখার অনুমতি নিয়ে রেখেছিল তারাই। তার পরেও তৃণমূল গা-জোয়ারি করে। তাতে পিছু হঠে দলের কর্মীরা পাশের একটি দেওয়ালের একাংশে লেখার জন্য বাড়ির লোকের অনুমতি নিয়েছিলেন। সেটি ‘দখল’ করা হচ্ছে দেখে তাঁরা প্রতিবাদ জানান। বিজেপির ২৮ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি প্রদীপ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘তখনই ৪০-৫০ জনের মোটরবাইক বাহিনী খাঁপুকুর এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালাতে থাকে। সামনে পড়ে স্থানীয় বুথ সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’’ ওই বুথ সভাপতি সুরজিৎ হাজরা চৌধুরী তৃণমূলের আট জনের নামে অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। এলাকায় পুলিশের টহল রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যাকে ধরা হয়েছিল, শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে জামিন মঞ্জুর হয়।