Guskara

গুসকরায় শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু! চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম আংশু ব্যাপারী। আংশু মঙ্গলকোটের সারঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা সুকান্ত ব্যাপারী ও বীথিকা ব্যাপারীর একমাত্র সন্তান। ঘটনার সময় দোকানে ছিলেন সুকান্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

গুসকরা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৪ ২৩:২৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

খেলতে গিয়েছিল ছেলে। হঠাৎই ছুটতে ছুটতে ঘরে ফিরে আসে সে। মা দেখেন, ছেলের হাত থেকে রক্ত ঝরছে। খেলতে গিয়ে কোনও ভাবে কেটে গিয়েছে ভেবে প্রথমে তেমন গুরুত্বই দেননি মা। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই দেখেন, ছেলে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে! এর পর আর দেরি না করে ছেলে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন মহিলা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। খানিক পরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বছর চারেকের সেই শিশুর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চত্বরে বিক্ষোভও দেখান শিশুটির পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সময় মতো চিকিৎসা না হওয়ায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম আংশু ব্যাপারী। আংশু মঙ্গলকোটের সারঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা সুকান্ত ব্যাপারী ও বীথিকা ব্যাপারীর একমাত্র সন্তান। ঘটনার সময় দোকানে ছিলেন সুকান্ত। বীথিকা ছিলেন বাড়িতে। আংশু বাড়ির পাশেই খেলছিল। হঠাৎ ঘরে ফিরে এসে সে মাকে জানায়, তার হাতে লেগেছে। আঙুল থেকে রক্ত ঝরছে দেখে বীথিকা ভেবেছিলেন, কোনও ভাবে কেটে গিয়েছে হয়তো। মলমও লাগিয়ে দেন। এর কিছু ক্ষণ পর থেকেই অসুস্থ বোধ করতে থাকে আংশু। বীথিকা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক ছেলেটির হাতের এক্স রে করাতে বলেন। সেই মতো গুসকরার একটি বেসরকারি সেন্টারে আংশুকে এক্স রে করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে আবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফেরানোর পরেই তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়ান স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে। পরিবার ও পড়শিদের দাবি, ছেলেটাকে কোনও বিষধর সাপে কামড়ে ছিল। সেটা জানার পরেও এক্স রে করাতে পাঠিয়ে সময় নষ্ট করা হয়েছে। ঠিক মতো চিকিৎসা না হওয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশুর বাড়ির লোকজন প্রথমে জানিয়েছিলেন, খেলতে গিয়ে আঘাত লেগেছে। তাই এক্স রে করাতে পাঠানো হয়েছিল। রাতে দেহটি উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement