খেতাব জয়ী দুর্গাপুর দল।-নিজস্ব চিত্র
দুরন্ত ফিল্ডিংয়ের জোরে বর্ধমানকে হারিয়ে আন্তঃমহকুমা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল দুর্গাপুর। সোমবার বর্ধমানের রানির মাঠে ফাইনালে পাঁচ উইকেটে জিতে ট্রফি ঘরে তুলল তারা।
আসানসোলকে হারিয়ে দুর্গাপুর ও কাটোয়া-কালনাকে হারিয়ে বর্ধমান ফাইনালে পৌঁছেছিল। এ দিন কুয়াশা ও পিচ ভিজে থাকার কারণে খেলা শুরু হতে দেরি হয়। সকাল ১০টা নাগাদ নির্ধারিত ওভার ৩৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করে খেলা শুরু হয়। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্গাপুর। গোড়ায় উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে গতি আনতে পারেনি বর্ধমানের ওপেনাররা। তার পরে পরপর উইকেট হারাতে থাকে তারা। তিন জন রান আউট হয়। খানিক মুখরক্ষা করে রিপন ঘোষ (৩৪)। শেষ দিকে ব্যাট চালিয়ে দু’টি ছয় ও একটি চারের সাহায্যে ব্রজেশ্বর চট্টরাজ ২৪ রান করে। বর্ধমানের ইনিংস শেষ হয় ১৩৩ রানে। দুর্গাপুরের অফ স্পিনার সনুকুমার সিংহ ৩১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেয়।
ব্যাট করতে নেমে দুর্গাপুরও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। পরপর দু’টি উইকেট হারায় তারা। দুর্গাপুরের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মণীশ সাউয়ের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে আশা জাগিয়েছিল বর্ধমানের সুমন দাস। কিন্তু ওপেনার মৃত্যুঞ্জয় রামের চমৎকার ইনিংস দুর্গাপুরকে বিপদে পড়তে দেয়নি। ১০টি ছয় ও ৪টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করে মৃত্যুঞ্জয়। মাত্র ২০ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দুর্গাপুর।
দুর্গাপুরের অধিনায়ক বিশাল ঘোষ অবশ্য জানায়, গোড়ায় উইকেট হারালেও তাঁদের কোনও চাপ ছিল না। তার কথায়, “জেতা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল। আমাদের ফিল্ডাররা অন্তত তিরিশ রান বাঁচিয়েছে।” বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব পীরদাস মণ্ডল বলেন, “এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বীরভূমে সিএবি পরিচালিত ক্রিকেট প্রতিযোগিতার জন্যও দল গড়ে নেওয়া হল।”