বাড়িছাড়া করার নালিশ দুই বৃদ্ধার

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট ছেলে জয়দেবকে নিয়ে হেডকোয়ার্টার এলাকায় থাকেন বৃদ্ধা পদ্মা চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ০০:১১
Share:

বাঁ দিকে, মাধুরী কেশ ও ডান দিকে, পদ্মা চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

বাক্স, বিছানা-সহ বৃদ্ধা মাকে বার করে দিয়ে ঘরে তালিয়ে লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বড় ছেলের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের হেডকোয়ার্টার কলোনি এলাকার ওই বৃদ্ধা কোকআভেন থানায় অভিযোগ করেছেন। আর এক বৃদ্ধাকে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের করঙ্গপাড়াতেও।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট ছেলে জয়দেবকে নিয়ে হেডকোয়ার্টার এলাকায় থাকেন বৃদ্ধা পদ্মা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্বামী, প্রয়াত নারায়ণবাবু ডিপিএলের কর্মী ছিলেন। তিনি হেডকোয়ার্টার এলাকায় জমি কিনেছিলেন। সেখানেই পদ্মাদেবী ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকেন। বড় ছেলে বাসুদেব বিয়ের পর থেকে থাকেন লেবারহাট বস্তিতে। অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছিলেন মাকে। অভিযোগ, হঠাৎ রবিবার তিনি সেখানে এসে বৃষ্টির মধ্যেই ঘর থেকে মাকে বার করে যাবতীয় জিনিসপত্র বাইরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেন। জয়দেব প্রতিবাদ করায় তাঁর উপরেও বাসুদেব চড়াও হন বলে অভিযোগ। পদ্মাদেবী এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সোমবার সকালে তিনি থানায় গিয়ে বাসুদেবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘জমি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য বহু দিন ধরেই আমায় চাপ দিচ্ছে বড় ছেলে। তা না শোনায় এমন কাণ্ড করেছে।’’ অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে কথা বলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে। অভিযুক্তকে থানায় ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও বাসুদেববাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ৮৭ বছরের বৃদ্ধাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে করঙ্গপাড়াতেও। বৃদ্ধা মাধুরী কেশ কয়েক মাস ধরে এক আত্মীয়ের নার্সিংহোমে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, জামাইয়ের মৃত্যুর পরে ছেলের সঙ্গে মেয়েকেও সম্পত্তির ভাগ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার পর থেকেই ছেলে-পুত্রবধূ অত্যাচার শুরু করে। তিনি বাড়ি ছেড়ে মেয়ের কাছে আশ্রয় নেন। কিন্তু আর্থিক কারণে কয়েক মাস আগে তিনি নিজের বাড়িতে ফেরেন। বছর দুয়েক আগে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পুত্রবধূ তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তাঁর আত্মীয় সূর্য কেশ তাঁকে নিজের নার্সিংহোমের একটি কেবিনে নিয়ে গিয়ে রেখেছেন। মাধুরীদেবীর মেয়ে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ জানান মহকুমা প্রশাসনের কাছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে দু’পক্ষকে ডেকে এক দফা শুনানি করেছেন। ফের শুনানি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement