মারধর, অভিযুক্ত ট্র্যাফিক পুলিশ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে রবীন্দ্র পুর-মার্কেটের দোতলায় একটি হার্ডওয়ার সামগ্রীর দোকানের উদ্বোধন ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০০:০৫
Share:

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তখনও চলছে গোলমাল। নিজস্ব চিত্র

এক ব্যবসায়ীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে ট্র্যাফিকের ওসির বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডে ওই ঘটনার পরে অভিযুক্ত ওসি-র শাস্তির দাবিতে অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। এসডিপিও ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। যদিও ব্যবসায়ীদের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে রবীন্দ্র পুর-মার্কেটের দোতলায় একটি হার্ডওয়ার সামগ্রীর দোকানের উদ্বোধন ছিল। সেই উপলক্ষ্যে দোকান ঘরের সামনে বেশ কিছু টুল, চেয়ার রাখা ছিল। ভিড় ছিল আমন্ত্রিতদেরও। এ দিকে, ওই দোকানটি পেরিয়েই যেতে হয় ট্র্যাফিকের কার্যালয়ে। সেখানকার কর্মীদের অভিযোগ, টুল-চেয়ারের ভিড়ে যাতায়াতে অসুবিধে হচ্ছিল। সেগুলি সরিয়ে নেওয়ার কথা বলতেই দোকানদার রাজা শেখের সঙ্গে বচসা বাধে ট্র্যাফিকের ওসি সংগ্রাম মোহিতের।

হরিপুরের বাসিন্দা, বছর আঠারোর রাজার অভিযোগ, ‘‘উদ্বোধনের দিন বলে দোকানে প্রচুর খদ্দের ছিলেন। তর্কাতর্কি শুরু হতেই উনি আমায় চড় মারেন।’’ এর পরেই জড়ো হয়ে যায় ওই বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা। ট্র্যাফিকের ওসিকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। সকালের ব্যস্ত সময়ে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিক্ষোভে থমকে যায় বাস, লরি চলাচল। যানজটও হয়। ঘটনাস্থলে যান এসডিপিও ত্রিদিব সরকার।

Advertisement

ব্যবসায়ীদের দাবি, ‘‘বাজারের দোতলায় আড়াই ফুট চওড়া বারান্দার ধারে দোকানঘর। এত টাকা দিয়ে পুরসভার কাছ থেকে ঘর নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়েও পুলিশের মার খেতে হচ্ছে।’’ ট্র্যাফিক পুলিশকেই ওই ঘর বদল করে অন্যত্র কার্যালয় চালু করার দাবি জানান তাঁরা। বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক বিনয় কর্মকার বলেন, ‘‘ট্র্যাফিকের কার্যালয় দোতলার এক কোণে। ওখানে যাওয়ার আলাদা সিঁড়ি করে নিলে আমাদের দোকানের উপর দিয়ে যেতে হবে না কর্মীদের। দু’পক্ষেরই সুবিধা হবে এতে।’’ তাঁদের দাবি, বাজারের আশপাশে মোটরবাইক দাঁড় করানো নিয়ে প্রায়ই পুলিশের সঙ্গে অশান্তি হয়। বাজারের নীচে একটি পার্কিং জোন চালুরও দাবি জানান তাঁরা।

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সিপাইদিঘিতে ট্র্যাফিকের নিজস্ব কার্যালয় তৈরির জন্য একটি জায়গা বাছা হয়েছে। সেখানে কার্যালয় হয়ে গেলেই সমস্যা মিটবে। তবে ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি অভিযুক্ত পুলিশকর্মী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement