তালে-তালে: কালনা রাজবাড়ি মাঠে নৃত্য প্রতিযোগিতা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
পর্যটন উৎসব শুরু হল কালনায়। রবিবার ৩৪টি আদিবাসী দলের নৃত্য-সহ শোভাযাত্রা দিয়ে সূচনা হল এ বারের উৎসব।
শহর ও তার আশপাশের এলাকায় পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনের টানে যাতে পর্যটকেরা আসেন, সেই লক্ষ্যে পাঁচ বছর ধরে পর্যটন উৎসবের আয়োজন হচ্ছে এই শহরে। রাজবাড়ি মাঠে আয়োজিত এই উৎসবের আহ্বায়ক স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। পরিচালনার দায়িত্বে পর্যটন উৎসব কমিটি। এ বার উৎসব শুরু হল আদিবাসী নৃত্যের বড় শোভাযাত্রা দিয়ে। এ দিন কালনা বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৪টি আদিবাসী দল শোভাযাত্রায় যোগ দেয়। সেটি শুরু হয় শহরের তেঁতুলতলা মোড় থেকে। ধামসা, মাদলের সঙ্গে নৃত্য দেখতে রাস্তার পাশে জড়ো হন শহরবাসী।
শোভাযাত্রা শেষে রাজবাড়ি মাঠে শুরু হয় নৃত্য প্রতিযোগিতা। সেখানে প্রতিটি দল বিচারকদের সামনে নৃত্য পরিবেশন করে। উৎসব কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, আদিবাসী এবং কোড়া সম্প্রদায়ের ৬টি দলকে পুরস্কৃত করা হবে। তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে মূল উৎসবে। ২৩ ডিসেম্বর উৎসব উপলক্ষে রয়েছে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। ৩১ ডিসেম্বর কৃষ্ণদেবপুর থেকে শুরু হবে একটি মোটরবাইক মিছিল। সেটি কালনার বাঘনাপাড়া, নারকেলডাঙা, বৈদ্যপুর-সহ নানা এলাকায় পুরাতাত্ত্বিক জায়গাগুলি ঘুরবে। উৎসব কমিটির দাবি, পর্যটকদের ওই সব জায়গায় পৌঁছনোর রাস্তার হদিস দিতে বেশ কিছু ফ্লেক্স টাঙানো হবে। মূল উৎসব শুরু ২ জানুয়ারি থেকে। চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘মোটরবাইক মিছিলে আমি থাকব। পরের বার শহর ছাড়া নানা গ্রামীণ এলাকাতেও পর্যটন উৎসব আয়োজন করার ভাবনা রয়েছে।’’