আপাতত ২১ জন আধিকারিকের দফতর বণ্টন করা হয়েছে। আরও কয়েকটি দফতরে কাজ শুরু করা হবে শীঘ্রই। সোমবার থেকে এ ভাবেই কাজ শুরু করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জানান, কাজে গতি আনতে কয়েক মাস সময় লাগবে। এরই মধ্যে প্রশাসনিক পরিকাঠামো উন্নয়নেরও কাজ চলবে বলে জানান তিনি।
জেলাশাসক জানান, নতুন জেলায় যে দফতরগুলি বণ্টন হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তফসিলি জাতি ও উপজাতি শংসাপত্র, বিশেষ ভূমি অধিগ্রহণ, সর্বশিক্ষা মিশন, পরিবহণ, অসামরিক প্রতিরক্ষা, খাদ্য, জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার ও জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা। এ দিন থেকেই দফতরগুলিতে বসে কাজ শুরু করে দিয়েছেন আধিকারিকেরা শীঘ্র বাকি দফতরগুলি বণ্টন করে আধিকারিক নিয়োগ করা হবে বলে জেলাশাসক জানান।
এ দিন জেলাশাসক বলেন, ‘‘কৃষি অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে এই শিল্পাঞ্চল নিয়ে নতুন জেলা গঠন করা হয়েছে। তাই প্রথম লক্ষ্য, শিল্প সহায়ক পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি শিল্পন্নোয়ন ঘটানো।’’ তিনি জানান, এ জন্য এলাকার শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করে মতামত জানার চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন বণিক সংগঠনকে নিয়ে আগে যে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছিল, প্রয়োজনে সেই কমিটির পুনর্গঠনও করা হতে পারে বলে জানান জেলাশাসক।
ইতিমধ্যে এই শিল্পাঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্রগুলি নিয়েও তিনি খোঁজ নিয়েছেন বলে জেলাশাসক জানান। পর্যটন শিল্পের কী ভাবে উন্নতি করা যায়, সে বিষয়েও উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বাস শশাঙ্কবাবুর। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের নানা জনমুখী প্রকল্প রয়েছে। নতুন জেলায় সেই সব প্রকল্পের উপযুক্ত ব্যবহার করতে হবে। সেটা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের পরামর্শ দিয়েছি।’’ নতুন জেলায় প্রশাসনিক পরিকাঠামো এখনও সে ভাবে গড়ে না ওঠায় প্রথম কয়েক মাস সমস্যা হলেও তা দ্রুত কেটে যাবে বলে আশা কর্তাদের।