বাঁশকোপা টোল প্লাজ়ায়। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র।
গাড়িতে তৃণমূলের পতাকা। আর তা থাকায় টোল দিতে হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের! শুক্রবার বাঁশকোপা টোল প্লাজ়ায় এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে বলে দাবি। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
বিরোধী নেতৃত্বের একাংশের দাবি, এ দিন সকাল থেকেই টোল প্লাজায় দেখা যায়, তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির জন্য দুর্গাপুরের দিক থেকে পর পর গাড়ি যাচ্ছে কলকাতার দিকে। পশ্চিম বর্ধমানের পাশাপাশি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের অনেকেও প্রতি বছর এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান দুর্গাপুর হয়ে। বিরোধীদের অভিযোগ, এ দিন তৃণমূলের দলীয় পতাকা লাগানো বিপুল সংখ্যক গাড়ি, বাস, এমনকি সরকারি বাসও টোল না দিয়েই বাঁশকোপা টোল প্লাজ়া পেরিয়ে কলকাতার দিকে বেরিয়ে যায়।
লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকা সংস্থার স্থানীয় কার্যালয়ে কোনও আধিকারিকের দেখা পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি সংশ্লিষ্ট সংস্থার ডিরেক্টর বিনোদ ত্রিপাঠী।
এ দিকে, জানা গিয়েছে, গাড়ির জন্য ৮৫ টাকা, বাসের ২৯০ টাকা করা টোল নেওয়া হয়। এ দিন বহু গাড়ি ও বাস বিনা টোলেই টোল প্লাজ়া পেরিয়েছে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, এ দিন ওই টোল প্লাজা দিয়ে অন্তত আটশোটি গাড়ি, বাস গিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টোল প্লাজ়ার একাধিক কর্মী বলেন, “গাড়িগুলিকে ছেড়ে দিতে হবে, এই মর্মে আমাদের অফিস থেকে নির্দেশ এসেছিল। আমরা সে নির্দেশপালন করেছি।”
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা অরাজকতা। নিশ্চিত ভাবেই চাপ দিয়ে টোল না নিতে বাধ্য করেছে তৃণমূল।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “আর্থিক ক্ষতি ঘটেছে। পাশাপাশি, টোল প্লাজ়ার কর্মীদের বদলে তৃণমূলের লোকজনকে টোল প্লাজ়ায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গিয়েছে!”যদিও, বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “কী হয়েছে, জানা নেই। আমাদের কর্মীরা শৃঙ্খলা মেনে চলেন। জোর করে কেউ টোল না দিয়ে গিয়েছেন, এটা হতে পারে না।”