দুর্গাপুরে কর্মিসভা

শুধরে নেওয়া হচ্ছে ভুল, দাবি অরূপের

বিধানসভা ভোটে শহরের দুই কেন্দ্রে হারের প্রভাব পড়বে না পুর নির্বাচনে, দুর্গাপুরে দাবি করলেন তৃণমূলের বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫০
Share:

বৈঠকে অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটক। নিজস্ব চিত্র।

বিধানসভা ভোটে শহরের দুই কেন্দ্রে হারের প্রভাব পড়বে না পুর নির্বাচনে, দুর্গাপুরে দাবি করলেন তৃণমূলের বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। রবিবার দলের কর্মিসভায় এসে তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে আমরা আসানসোলে হেরেছিলাম। কিন্তু পুরভোটে তো সেখানে জিতেছি। এখানেও পুরভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’

Advertisement

এ দিন সিধো-কানহু স্টেডিয়ামে দুর্গাপুর জেলা তৃণমূলের তৃণমূলের কর্মিসভা ছিল। অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও মলয় ঘটক, উত্তম মুখোপাধ্যায়, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, ভি শিবদাসন, অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের শিল্পাঞ্চলের নেতারা হাজির ছিলেন। তবে শহরের মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় ছিলেন না। অরূপবাবু বলেন, ‘‘উনি অসুস্থ, সে কথা আগেই জানিয়েছেন।’’

পুরভোট সংক্রান্ত বৈঠক ছিল না দাবি করলেও দুর্গাপুরে সেটাই যে এখন তৃণমূলের পাখির চোখ, এ দিন অরূপবাবুর কথায় তা পরিষ্কার। পুরভোট কবে হবে তা প্রশাসন বলতে পারবে জানিয়ে অরূপবাবু বলেন, ‘‘বর্ধমান ও আসানসোলের মতো এখানেও সাংগঠনিক বৈঠক হল। দলে কোনও মতবিরোধ নেই। হয়তো কিছু ভুল ছিল, আমরা তা শুধরে নিচ্ছি।’’

Advertisement

গত পুরভোটে দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম কেন্দ্রে হার হয়েছে তৃণমূলের। তার মধ্যে পশ্চিমে বড় ব্যবধানে হারেন মেয়র অপূর্ববাবু। পুরভোটে তাঁকে মেয়র পদপ্রার্থী করেই তৃণমূল লড়াইয়ে নামবে কি না, সে প্রশ্ন এড়িয়ে অরূপবাবু বলেন, ‘‘দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা আমরা কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তৃণমূল সব পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করেই কাজ করে। এখানেও সে ভাবে এগোচ্ছি। আমরা আবারও জিতব।’’

আসানসোল-দুর্গাপুর নিয়ে তৈরি হতে চলা নতুন জেলায় কাঁকসা-বুদবুদকে রাখার দাবিতে ইতিমধ্যে আন্দোলনে নেমেছে বামেরা। সেই দাবিতে দুর্গাপুর আদালতে কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা। কিন্তু শাসকদল এ ব্যাপারে নিশ্চুপ বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিন সে প্রসঙ্গে অরূপবাবু বলেন, ‘‘এগুলি প্রশাসনিক বিষয়।’’ তবে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয়বাবু বলেন, ‘‘কাঁকসা-বুদবুদ গ্রামীণের অংশে যাচ্ছে কি না, সেটা তো এখনও জানা নেই। জানলে তবে তো আন্দোলনে নামার প্রশ্ন।’’ আদালতে কর্মবিরতি নিয়ে মলয়বাবু বলেন, ‘‘অচলাবস্থা কাটানোর ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের একপ্রস্ত বৈঠক হয়েছে।’’

বৈঠকে মহকুমার নানা প্রান্ত থেকে এসেছিলেন বেশ কয়েক হাজার কর্মী। সভার মাঝপথে অনেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন। গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে স্থানীয় কিছু নেতার বিরুদ্ধে দলের নাম ভাঙিয়ে সুবিধে আদায়ের চেষ্টা, হুমকি ইত্যাদির অভিযোগ উঠেছে। দলীয় নেতৃত্ব জানান, এ সব রেয়াত করা হবে না। মেয়র অপূর্ববাবুকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement