Jamalpur

সভাপতি বাছতে ভোট দিলেন না দলেরই একাংশ

পাঁচ বছর আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে ২০-১৯ ভোটে প্রদীপ পালকে হারিয়ে সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন মেহেমুদ খান। সম্প্রতি তিনি জামালপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামালপুর শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ফের প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের ১৪ জন সদস্য শুক্রবার ভোট বয়কট করেন। ২২ জন সদস্য দলের ঘোষিত প্রার্থী ভূতনাথ মালিককে ভোট দেন। ব্লক সভাপতি (জামালপুর) মেহেমুদ খান বলেন, ‘‘কেন দলের একাংশ ভোট দিলেন না, বুঝতে পারছি না। দলের ঘোষিত প্রার্থীই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েছেন। দলকে রিপোর্ট পাঠানো হবে।’’ তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কোনও ভোটাভুটি হয়নি। নির্বিঘ্নে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে গিয়েছে।’’ ২০১৮ সালেও ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়েছিল।

Advertisement

পাঁচ বছর আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে ২০-১৯ ভোটে প্রদীপ পালকে হারিয়ে সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন মেহেমুদ খান। সম্প্রতি তিনি জামালপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হয়েছেন। দলের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। দলের তরফে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, মেহেমুদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ভূতনাথ মালিককে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করার কথা ভাবা হয়। ভূতনাথ বুধবার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এ দিন এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) সুপ্রভাত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সকাল ১০টা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী পঞ্চায়েত সমিতির দফতরের সামনে মেমারি-তারকেশ্বর রোডের উপরে জড়ো হয়। ভোট বয়কট করে বেরিয়ে আসার সময়ে ব্লক সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত, সমিতির প্রাক্তন সভাপতি অরবিন্দ ভট্টাচার্য, ব্লকের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ পালদের কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৯ জন সদস্য। এ দিন ৩৬ জন উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টা নাগাদ সভাপতি নির্বাচনের শুরুতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। দলের প্রার্থী ভূতনাথের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করেন অরবিন্দ ভট্টাচার্য। ব্যালট পেপার, বুথ তৈরি হয়ে যায়। ভোটদান শুরুর মুখে ভূতনাথ মালিক দাবি করেন, প্রকাশ্যে ভোট করতে হবে। প্রতিবাদ জানান অরবিন্দ, প্রদীপেরা। বিডিও (জামালপুর) শুভঙ্কর মজুমদার জানান, পঞ্চায়েত আইন মোতাবেক গোপন ব্যালটে ভোট হলেও কেউ জানতে চাইলে ব্যালট দেখানো হবে। আর ব্যালটের পিছনে ভোটদাতার নাম ও সই থাকবে। এর পরেই ১৪ জন সদস্য ভোট ‘বয়কট’ করে সমিতি থেকে বেরিয়ে যান।

Advertisement

অরবিন্দ পরে বলেন, ‘‘এটা কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। ভাবনার ভিন্নমত মাত্র। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মতো ভোট হবে না জানার পরেই আমরা বয়কট করেছি।’’ প্রদীপের দাবি, ‘‘ভোটে গোপনীয়তা বজায় থাকবে না, কে কাকে ভোট দিচ্ছে জানা যাবে। আমরা এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাব।’’ বিডিও বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত আইন অনুসারেই সমিতির সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement