রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। সিবিআই-প্রসঙ্গে বিজেপিকে বিঁধতে মজার ছলেই তিনি বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথকে নোবেল দিয়ে অপমান করা হয়েছিল। সেই কারণেই বাংলার ছেলেরা সেটি চুরি করে নিয়েছিল।’’ কিন্তু তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
সোমবার ভাতারে তৃণমূলের তরফে পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দেন মানগোবিন্দ। রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানও করেন তিনি। এর পর মঞ্চে বলেন, ‘‘নোবেল দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে অপমান করা হয়েছিল। আমাদের বাংলার ছেলেরা সেই নোবেলটা চুরি করে নিয়েছে।’’
এই বক্তব্যের সূত্রেই সিবিআই তদন্তের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে বিঁধেছেন মানগোবিন্দ। তাঁর কথায়, ‘‘সিবিআই-সিবিআই করে এখন বিজেপি লাফাচ্ছে। সিবিআই কিন্তু সেই চুরি যাওয়া নোবেল খুঁজে বার করতে পারেনি। আজ সেই চুরি যাওয়া নোবেল খুঁজে বার করার জন্য আবার বাংলার পুলিশকে লাগানো হচ্ছে। সিবিআইকে বলা হয়েছে, ‘আপনারা সমস্ত তথ্য আমাদের দিন। আমরা সেটা খুঁজে বার করার চেষ্টা করব।’ আর বাংলার বিজেপি কর্মীরা লাফাচ্ছেন সিবিআই-সিবিআই করে।’’
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ সকালে জানা যায়, রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহশালা থেকে নোবেল পদক চুরি গিয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৫০টি মূল্যবান জিনিস চুরি গিয়েছে বলে জানা যায়। এর পর দিন ছয়েকের মাথায় তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-এর হাতে। কিন্তু ২০০৭ সালের অগস্ট মাস নাগাদ প্রাথমিক ভাবে তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ায় সিবিআই। ঠিক বছর খানেকের মাথায় নতুন সূত্র মিলেছে বলে দাবি করে আদালতে আবার তদন্ত করার আবেদন জানায় সিবিআই। এর পর পরের বছর অগস্ট মাসে ফের তদন্ত বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়। ২০১০-এর ৫ অগস্ট আদালত সিবিআইকে তদন্ত বন্ধ রাখার অনুমতি দেয়। তবে সিবিআই এ-ও আদালতকে জানায় যে, নতুন সূত্র মিললে আবার তদন্ত শুরু হতে পারে। সম্প্রতি রাজ্যে বগটুই-কাণ্ড, হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ড-সহ একাধিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।