কীর্তি আজাদ। —ফাইল চিত্র।
প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরে তাঁদের ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। তবে ভোটের লড়াইয়ে জিতে মাঠ ছেড়েছেন তাঁরা। এক জন এ রাজ্য থেকে প্রথম বার সাংসদ হয়েছেন। অপর জন দ্বিতীয় বার। ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চে অবশ্য কীর্তি আজাদ হাজির থাকলেও, শত্রুঘ্ন সিন্হাকে দেখা গেল না। অসুস্থতার কারণে শত্রুঘ্ন থাকতে পারেননি বলে জানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ বার লোকসভা ভোটে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে কীর্তিকে প্রার্থী করে তৃণমূল। লক্ষাধিক ভোটে বিজেপির দিলীপ ঘোষকে পরাজিত করেছেন কীর্তি। আসানসোল কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পরে এ বার নির্বাচনেও জয় ধরে রেখেছেন শত্রুঘ্ন। সাংসদ হওয়ার পর থেকে কীর্তিকে এলাকায় প্রায়ই দেখা যাচ্ছে বলে বাসিন্দাদের অনেকেই জানান। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে যে সব দাবিদাওয়ার কথা শুনেছিলেন, তার মধ্যে কয়েকটি নিয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলেও তৃণমূল সূত্রের দাবি। শত্রুঘ্নকে মহরমের দিন আসানসোলে এক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। তবে এ দিন ধর্মতলার মঞ্চে তিনি ছিলেন না।
তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন সভামঞ্চ থেকে কীর্তি, শত্রুঘ্নদের জয়ের কথা উল্লেখ করেন। সভার পরে কীর্তি বলেন, ‘‘দারুণ অভিজ্ঞতা হল। এত মানুষের জমায়েত। আমারও বক্তব্য রাখতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। দিদি শত্রুঘ্ন সিন্হা, ইউসুফ পাঠান, আমার নাম উল্লেখ করেছেন। আমার নাম দিদি নিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ।’’ তবে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে এ বারই প্রথম নয়, আগেও তিনি হাজির থেকেছেন বলে জানান কীর্তি। তিনি বলেন, ‘‘এর আগে ১৯৯৯ সালে শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলাম।’’
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শত্রুঘ্নের কিছু দিন আগে জ্বর হয়েছিল। এখনও দুর্বলতা রয়েছে। সে কথা দিদিকে (মমতা) জানিয়েছিলেন। দিদি ওঁকে ২১ জুলাই না আসার পরামর্শ দেন।’’ সোমবার সংসদে শত্রুঘ্ন শপথ নিতে পারেন বলেও জানান তিনি। নরেন্দ্রনাথের দাবি, পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে রেকর্ড সংখ্যক দলীয় কর্মী-সমর্থক এ বার ধর্মতলায় সমাবেশে হাজির থেকেছেন।