Smuggling

Arrest: রাস্তার গাছ কেটে ‘পাচারে’ ধৃত দুই নেতা-সহ পাঁচ

পঞ্চায়েত অফিসের আশপাশে প্রায় দু’হাজার গাছ কে বা কারা কেটে নেয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

গলসি শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২১ ০৭:৩২
Share:

উদ্ধার হওয়া গুঁড়ি। নিজস্ব চিত্র।

রাস্তার দু’পাশের গাছ বেআইনি ভাবে কেটে পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই তৃণমূল নেতা-সহ পাঁচ জন। ধৃতেরা হলেন গলসির পাত্রহাটি গ্রামের শেখ আব্বাসউদ্দিন ওরফে সাগর, মসজিদপুর গ্রামের শেখ সফিক ওরফে শম্ভু, তেঁতুলমুড়ি গ্রামের নূর মহম্মদ শাহ ওরফে টগর, ভাতারের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সুকুমার বিশ্বাস আর ওই থানারই সুভাষপল্লির মিলন বিশ্বাস। স্থানীয় সূত্রের দাবি, শম্ভু আর টগর স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি (গলসি ২) সুজন মণ্ডল বলেন, ‘‘দল অপরাধীদের পক্ষে নয়। তাই বেআইনি ভাবে গাছ কাটার ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত তারা কেউ ছাড় পাবে না। আমরা চাই, অপরাধীদের শাস্তি হোক।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসি থেকে শিকারপুর যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে কয়েক হাজার গাছ ছিল। মাস ছ’য়েক আগে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। তার কিছুদিন পর থেকে মসজিদপুর পঞ্চায়েত অফিসের আশপাশে প্রায় দু’হাজার গাছ কে বা কারা কেটে নেয় বলে অভিযোগ। এলাকবাসী গলসি ২-এর বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দেন। তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর ব্লক সভাপতি গুল মহম্মদ মোল্লা-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা ও কাঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লিখতে অভিযোগ হয়। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি কোনও অনুমোদন ছাড়াই গাছগুলি কেটে পাচার করা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি। তিনিও প্রশাসনের কাছে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সুকুমার ও মিলনকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একশোটি গাছের গুঁড়িও উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতদের নিয়ে সাগরের গোলাতে হানা দেওয়া হয়। সাগরকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি, আরও ২১০টি গাছের গুঁড়ি মেলে। এ দিন ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে তিন দিন পুলিশ-হেফাজতে পাঠানো হয়। মিলনকে জেল-হেফাজতে পাঠিয়ে শনিবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement