TMC Leader

তিনি জনসেবা করবেন, ১০০ কম্বল দাবি ব্যবসায়ীর থেকে, না পেয়ে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়টি জেনেছি। যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে শেখ মালেককে দল থেকে তাড়িয়ে দেবো।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:০৪
Share:

— প্রতীকী ছবি।

তিনি জনসেবা করবেন। শীতের মধ্যে গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করবেন কম্বল। মহতি উদ্যোগ, সন্দেহ নেই। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্য জায়গায়। যে কম্বল বিলি হবে, তা দেওয়ার জন্য হুমকি গিয়েছে অন্য এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী কম্বল দিতে পারবেন না বলায় তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ বর্ধমান ১ ব্লকের তৃণমূল নেতা শেখ মালেকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতা অবশ্য জোরজুলুমের অভিযোগ মানেননি। জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, দোষ প্রমাণ হলে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে অভিযুক্তকে।

Advertisement

বর্ধমান ১ ব্লকের তৃণমূল সদস্য শেখ মালেক আয়োজন করেছেন কম্বল বিতরণ কর্মসূচির। অভিযোগ, একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে ১০০ কম্বল কেনার টাকা দেওয়ার দাবি জানান মালেক। ওই কর্মী তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। নিগৃহীত ব্যক্তি নিজেও তৃণমূল করেন বলে দাবি করেছেন। এ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধী নেতারা।

আগামী রবিবার বর্ধমানের ভোতারপাড় মালেকের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান। অভিযোগকারী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মী শেখ আরজু অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমাকে বলা হয়, ১০০টি কম্বলের টাকা দিতে হবে। আমি জানাই, নিতান্ত একজন কর্মচারী হয়ে এত টাকা দিতে পারব না। মালিককে বলতে বলি। কিন্তু সেই কথায় কর্ণপাত না করে ওই কম্বলের টাকা আমাকেই দিতে হবে বলে মালেকের নেতৃত্বে বেশ কয়েক জন আমাকে খুব মারধর করেন।’’ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মালেক। মালেকের পাল্টা দাবি, দলের কর্মীরা ওই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তখন বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী দলের কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। শুক্রবার বর্ধমান থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আরজু। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।

Advertisement

এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘কম্বল বিতরণের নাম করে তৃণমূল নেতারা তোলাবাজি করছেন। এমন কি নিজের দলের কর্মীরাও তোলাবাজির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।’’

গোষ্ঠী কোন্দল বা তোলাবাজির অভিযোগ মানতে নারাজ বর্ধমানে তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তাঁর দাবি, দলে কোনও কোন্দল নেই। দল ঐক্যবদ্ধ। তাঁর আরও দাবি, ‘‘ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ঝামেলা অশান্তি হতেই পারে। কিন্তু এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়টি জেনেছি। যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে শেখ মালেককে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement