তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে কাউন্সিলর

কিছু দিন আগেই যোগ দিয়েছেন নেতা। সেই পথে হেঁটে ভোটের মুখে একই ভাবে তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ দিলেন আর এক কাউন্সিলর গৌরী বিশ্বাস। বস্তুত, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের দলত্যাগী কাউন্সিলর তথা দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সমর্থনে প্রচারের ঝাঁঝ তত বাড়ছে। মঙ্গলবার সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বিশ্বনাথবাবুকে নিয়ে দুর্গাপুর স্টেশন এলাকায় পদযাত্রা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৬ ০০:৫১
Share:

কিছু দিন আগেই যোগ দিয়েছেন নেতা। সেই পথে হেঁটে ভোটের মুখে একই ভাবে তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ দিলেন আর এক কাউন্সিলর গৌরী বিশ্বাস।

Advertisement

বস্তুত, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের দলত্যাগী কাউন্সিলর তথা দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সমর্থনে প্রচারের ঝাঁঝ তত বাড়ছে। মঙ্গলবার সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বিশ্বনাথবাবুকে নিয়ে দুর্গাপুর স্টেশন এলাকায় পদযাত্রা করেন। তবে বসে নেই বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তিনি এ দিন ২১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সারেন। প্রচারে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ দুবেও। তিনি প্রচার সারেন গোপালমাঠে।

পুরসভার ১১ থেকে ২২ এবং ২৯ থেকে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র। পুরোটাই শহুরে এলাকা। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে তৃণমূল এগিয়ে ছিল প্রায় ৮ হাজার ভোটে। এই কেন্দ্রে এ বার কংগ্রেস ও সিপিএমের জোটের প্রার্থী বিশ্বনাথবাবু। যা তৃণমূলের মাথাব্যাথার কারণ বলে দলেরই একাংশের দাবি। সেই মাথাব্যথা আরও বাড়িয়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন গৌরীদেবী। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতারা অবশ্য গৌরী বিশ্বাসের দলবদলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই কাউন্সিলরকে আগে বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সঙ্গে মিছিলে দেখা গিয়েছে। তিনি দল ছাড়ায় কোনও ক্ষতি হবে না।’’

Advertisement

গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রে তিনি প্রায় ৫৫ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন। সিপিএম প্রার্থী সাইদুল হক তাঁর থেকে একশো ভোট কম পেয়েছিলেন। এ বার এই কেন্দ্রের প্রার্থী কল্যাণ দুবে তাই ভালো ফল নিয়ে আশাবাদী। বাসিন্দারা তাঁর কাছে নতুন শিল্প এবং দূষণ রোধের দাবি জানান। স্মার্ট সিটি-র তালিকায় দুর্গাপুরের নাম তোলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ারও আর্জিও রেখেছেন তাঁরা।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে প্রচারে ইতিমধ্যেই এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ববাবু। এ দিন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৪ ফুট, নেতাজি কলোনি প্রভৃতি এলাকায় প্রচার সারেন তিনি। তবে বিদায়ী বিধায়কে প্রচারে গিয়ে শুনতে হচ্ছে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে নানা সমস্যার কথা। কেননা, তিনি শহরের মেয়রও। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করা, দূষণ রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠছে। অপূর্ববাবু অবশ্য বলেন, ‘‘ধারাবাহিক উন্নয়নের কাজ চলছে দুর্গাপুরে। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েও অনেকে অনেক পরামর্শ দিচ্ছেন। সব কাজে লাগবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement