—নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির সমর্থক যে সব শ্রমিক তাঁদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিটিপিএস কারখানা সম্প্রসারণে কাজ করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এমনই অভিযোগ ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত কারখানা চত্বর। শনিবার সকালে শ্রমিকদের কাজে নেওয়া নিয়ে অশান্তি কারখানার গেটের সামনে। ধস্তাধস্তি থেকে মারামারি কিছুই বাদ গেল না। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খেল পুলিশ।
বস্তুত, কর্মী নিয়োগেও ‘আমরা-ওরা’র রাজনীতি শুরু হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন বা ডিটিপিএস ধুঁকছিল। বেশ কিছু দিন বন্ধও ছিল কারখানা। শেষে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করায় আবার অক্সিজেন পেতে শুরু করছে ডিটিপিএস। শুরু হয়েছে কারখানা সম্প্রসারণের কাজ। এখন বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দেওয়া ৮০ জনের তালিকা মেনে কারখানা সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ের কাজে কিছু অস্থায়ী কর্মী নেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপির দেওয়া ১৯ জনের শ্রমিকের তালিকা গ্রহণ করা হয়নি। তাঁরা কেন কাজ পাবেন না, এ নিয়ে শুরু হয়েছে অশান্তি।
বেশ কিছু দিন ধরে ১৯ জন শ্রমিকের পুনর্বহালের দাবিতে ডিটিপিএস কারখানার গেটে আন্দোলন করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। শুক্রবার দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের নেতৃত্বে ওই আন্দোলন শুরু হয়। কর্তৃপক্ষ থেকে ঠিকা কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় কারখানায়। তখন পুলিশি আশ্বাসে শান্ত হয় পরিস্থিতি। কিন্তু শনিবার আবার ঘোরালো হয় পরিস্থিতি। কারখানার গেটে বিজেপি কর্মীরা আন্দোলনে বসে পড়েন। চলে স্লোগান। আবার সেখানে উপস্থিত হন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক। অভিযোগ, ঠিকাকর্মীরা কারখানার ভিতরে সময়ের অনেক আগে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় আন্দোলনকারীরা। দাবি ওঠে, স্থানীয়দের কাজ করতে দিতে হবে। তিনি তৃণমূলের হলেও অসুবিধে নেই। কিন্তু বহিরাগত ঠিকাকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন পাল্টা স্লোগান শুরু করে। বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের স্লোগান এবং পাল্টা স্লোগানে নিমেষে উত্তপ্ত হয়ে যায় এলাকা। দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়।