ঘটনাস্থল। বুধবার চিনাকুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
বাবার সঙ্গে দামোদর নদে এসে তলিয়ে গিয়েছিল বালিকা। স্থানীয়দের দৌলতে উদ্ধার হয়ে সে জানাল, জলে ডুবে নিখোঁজ তার ছোট দুই বোনও। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ কুলটি থানার চিনাকুড়ি দু’নম্বর এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বাবার চোখ এড়িয়ে কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। তিন বালিকার বাবা মিথিলেশ ঠাকুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
চিনাকুড়ি দু’নম্বর এলাকার বাসিন্দা মিথিলেশবাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী কয়েকবছর আগে মারা গিয়েছেন। তিন মেয়েই প্রথম পক্ষের। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর এক ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ের বয়স ১২। সে-ই উদ্ধার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ থাকা তার এক জনের বোনের বয়স সাত ও অন্য জনের বয়স দু’বছর।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দামোদর নদের মাঝ বরাবর এক নাবালিকাকে ডুবন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁদের কয়েকজন নদে ঝাঁপ দিয়ে ওই নাবালিকাকে পাড়ে তুলে আনেন। ওই নাবালিকাই তাঁদের জানায়, তার আরও দুই বোন নদে তলিয়ে গিয়েছে। তারা তিন জন বাবার সঙ্গে এখানে এসেছিল।
বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যেরা। তাঁরা তলিয়ে যাওয়া দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া নাবালিকাকে নিজেদের হেফাজতে রেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে পারিবারিক কোনও বিবাদের সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।