প্রতীকী ছবি।
‘ব্রাউন সুগার’ পাচারের অভিযোগ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের জামুড়িয়ার জেকে নগর মোড়ের ঘটনা।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ির এক আধিকারিক ওই এলাকায় একটি মোটরবাইক আটকান। তাতে তিন জন সওয়ার ছিলেন। পুলিশের দাবি, ওই তিন জনের কাছে থাকা একটি পলিথিনের ব্যাগে ১৮ গ্রাম ‘ব্রাউন সুগার’ মেলে। এর পরেই বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজেন চৌধুরী ও ঋষি যাদব নামে যথাক্রমে কুলটির নিয়ামতপুর কুলতোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় লাগোয়া দুর্গামন্দির, কুলটির বিএনআর মোড় গোয়ালাপাড়া ও আসানসোলের ঘাটিগলি এলাকার তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে তাঁদের সাত দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের দাবি, বাবন আসানসোলের একটি পলিটেকনিক কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিলেন। বছরখানেক আগে তিনি কলেজের পড়ুয়াদের একাংশকে এই মাদক ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তোলেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারীরা জানান, বাবন তাঁদের কাছে জানিয়েছেন, তিনি মূলত জামুড়িয়া ও কুলটিতে মাদক দিতেন। মুর্শিদাবাদ থেকে এই মাদকদ্রব্য আনা হত বলে অভিযোগ।
তদন্তকারীদের দাবি, পাণ্ডবেশ্বর, জামুড়িয়ার নিউ কেন্দা, কেন্দা, হরিপুর, শ্রীপুর, রানিগঞ্জের চর্বিমহল্লা ও লাগোয়া এলাকায় এই মাদক কারবারের খবর মিলেছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেল, এক গ্রাম ‘ব্রাউন সুগার’ এক হাজার টাকায় এবং ২০০ মিলিগ্রাম ওই মাদক দু’শো টাকায় ‘পুরিয়া’ বানিয়ে বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি আসানসোলের একাংশে এই কারবারে লাগাম টানার আবেদন জানিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয়কুমার ঠাকুরের কাছেও স্মারকলিপি জমা দেন স্থানীয় কয়েকজন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘প্রায় এক মাসের মধ্যে এই কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে হিরাপুর, নিয়ামতপুর, আসানসোল এবং জামুড়িয়া থেকে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই কারবারকে সম্পূর্ণ রূপে শেষ না করা পর্যন্ত পুলিশের অভিযান চলবে।’’ এ দিকে, ধৃতদের জেরা করে এই মাদকদ্রব্যের ক্রেতা কারা, কী ভাবে তাঁদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় এই মাদক, সে সব তথ্যের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।