দুর্ঘটনাগ্রস্ত। নিজস্ব চিত্র
গাড়ির ধাক্কায় উল্টে গেল রোগী নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্স। শনিবার সকালে আউশগ্রামের কয়রাপুরের কাছে ২বি জাতীয় সড়কে ফের এই দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার এই এলাকাতেই দুর্ঘটনায় এক কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু হয়। একের পর এক দুর্ঘটনার জেরে এই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুর্ঘটনায় আহত হন অ্যাম্বুল্যান্সের রোগী জয়গোপাল গুপ্ত ও তাঁর দুই সঙ্গী কার্তিক গুপ্ত ও শ্রীকান্ত গুপ্ত। তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। যদিও মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতেরা সেখানে ভর্তি হননি, অন্য কোথাও গিয়েছেন। যে গাড়িটির সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে, সেটি আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ কলকাতার বরানগর থেকে গাড়িতে করে তারাপীঠে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন এক পরিবারের চার জন। কয়রাপুরের কাছে অ্যাম্বুল্যান্সটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। রাস্তার পাশে উল্টে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। বোলপুরের রূপপুর পঞ্চায়েতের ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করে বোলপুরের বিনয়পল্লির বাসিন্দা জয়গোপালবাবুকে বর্ধমানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁর হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে।
বরানগর থেকে আসা গাড়িটির চালক ও আরোহীদের দাবি, একটি লরিকে ওভারটেক করে হঠাৎ ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। এর পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের হেনস্থা করেন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। শুক্রবার ওই এলাকায় দুর্ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা এক শিক্ষকের মৃত্যুর পরে সরব হয়েছিলেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, বারবার দুর্ঘটনায় প্রমাণ যান নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ২বি জাতীয় সড়কে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, এই রাস্তায় দুর্ঘটনা মোকাবিলার জন্য নানা রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।