প্রতীকী ছবি।
এলাকার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজন বারবার প্রেক্ষাগৃহ তৈরি ও সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। কারণ, তাঁদের মতে, শিল্পাঞ্চলে আসানসোল, বার্নপুর বাদে অন্যত্র ভাল প্রেক্ষাগৃহ না থাকায় অনুষ্ঠান করতে সমস্যা হয়। এই পরিস্থিতিতে কুলটি, রানিগঞ্জ ও আসানসোলে তিনটি নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে আসানসোল পুরসভা।
নয়া কলেবরে আসানসোল পুরসভা তৈরির পরে থেকেই প্রেক্ষাগৃহ তৈরির দাবি জানান রানিগঞ্জ ও কুলটির বাসিন্দারা। ১৯৯৪ সালে সাবেক কুলটি পুরসভা তৈরির পরেও এই একই দাবি উঠেছিল। ২০০৩ সালে সেই দাবি আরও জোরাল হয়। কারণ, তত দিনে কুলটি ইস্কোয় ঝাঁপ বন্ধের পরে কারখানার নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ ‘কুলটি সম্মিলনী’ও বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কুলটিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করাটাই কঠিন বলে জানান এলাকার প্রবীণ সংস্কৃতিকর্মীরা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশোগোপাল চৌধুরী ও আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের অর্থসাহায্যে কুলটির মিঠানি গ্রামে একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হয়। কিন্তু সেখানেও নিয়মিত অনুষ্ঠান হয় না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এলাকার সংস্কৃতি কর্মী প্রভাত সরকার বলেন, ‘‘কুলটি সম্মিলনীর সংস্কার করা হোক অথবা কুলটিতে একটি আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ তৈরিতে পদক্ষেপ করুক আসানসোল পুরসভা।’’ একই দাবি রয়েছে রানিগঞ্জেও।
আসানসোল পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মেয়র পারিষদদের বৈঠকে নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তার পরেই তা পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদিতও হয়েছে। আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির আশা, ‘‘আগামী আর্থিক বর্ষেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এর জন্য একটি খসড়া প্রকল্প ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা।’’
পুরসভা জানায়, কুলটি ও রানিগঞ্জে দু’টি রবীন্দ্র ভবন এবং আসানসোলে একটি বড় প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হবে। পুরসভার চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুকোমল মণ্ডল জানান, প্রেক্ষাগৃহ তৈরির জন্য কুলটি ও রানিগঞ্জে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচনের কাজ চলছে। তবে আসানসোলের জুবিলি মোড়ে কমপক্ষে দু’হাজার আসনের একটি নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করার জন্য জায়গা পছন্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ছ’মাসের মধ্যে আসানসোলের ঐতিহ্যবাহী রবীন্দ্রভবনেরও সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা পুরসভার।