Accident

accident: কাজে যাওয়ার পথে গাড়ির ধাক্কা, মৃত তিন

প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, পিছন থেকে একটি ট্রাক বা পিক-আপ ভ্যান চার জনকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ০৮:০৬
Share:

নিকটজনেদের হারিয়ে কান্না, গলসিতে। ছবি: কাজল মির্জা।

খেতে কাজে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মা ও মেয়ে-সহ তিন জনের। আহত হলেন আরও এক জন। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে পূর্ব বর্ধমানের গলসি চৌমাথার অদূরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত গায়ত্রী বাগ (৫০) ও তাঁর মেয়ে জবা বাগের (২৮) বাড়ি গলসির বাবলা গ্রামে। আর এক মৃত শিউলি লোহার (২৮) এবং আহত রুমা লোহার লাগোয়া উত্তর গলসির বাসিন্দা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গায়ত্রীদেবীরা চার জন এ দিন সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ এক্সপ্রেসওয়ে ধরে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার দূরে গলিগ্রামে ধান রোওয়ার কাজ করতে যাচ্ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময়ে কাছাকাছি কেউ ছিলেন না। দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, পিছন থেকে একটি ট্রাক বা পিক-আপ ভ্যান চার জনকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিন জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুমাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়।

গ্রামবাসীরা জানান, জনা বারোর একটি দল প্রতিদিন এক সঙ্গে গলিগ্রামে খেতমজুরের কাজ করতে যেতেন। এ দিন শুধু গায়ত্রীদেবীরা চার জন যাচ্ছিলেন।

Advertisement

দুর্ঘটনার খবর পৌঁছনোর পরে, গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। এলাকার যাঁরা মাঠে কাজে গিয়েছিলেন, তাঁরা পাড়ায় ফিরে আসেন। মৃতদের সহকর্মী শুভা লোহার, কাজল লোহারেরা জানান, এখন গ্রামের মাঠে কাজ শুরু হয়েছে। তাই এ দিন তাঁরা গ্রামেই কাজ করছিলেন, গলিগ্রামে যাননি। কিন্তু গায়ত্রীদেবীরা তাঁদের জানান, তাঁদের কিছু মজুরি পাওনা রয়েছে। এ দিন কাজ করে সে টাকা নিয়ে ফিরবেন। শুভা, কাজলদের আক্ষেপ, ‘‘ওদের যেতে মানা করেছিলাম। কিন্তু শুনল না। শুনলে, হয়তো এমনটা ঘটত না!’’ এ দিন পাড়ায় অনেকের বাড়িতেই হাঁড়ি চড়েনি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল মেটে, মির লোহারেরা।

গায়ত্রীদেবীর বাড়িতে রয়েছেন তাঁর ছেলে, পুত্রবধূ ও দুই নাতি। মেয়ে জবাও স্বামী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন। জবার স্বামী সিধু বাগ বলেন, ‘‘যাঁর জমিতে ওঁরা কাজ করছিলেন, সেখানে ধান রোয়ার কাজ আজই শেষ হয়ে যেত। কাল থেকে গ্রামে কাজ করার কথা ছিল ওঁদের। কিন্তু তার আগেই এক্সপ্রেসওয়ে প্রাণ কেড়ে নিল!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement