CBI

CBI: হাজার কোটির লেনদেন! আদালতে দাবি করল সিবিআই

কয়লা চুরি এবং গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের তথ্য রয়েছে, এমনটাই জানাল সিবিআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২২ ০৭:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

কয়লা চুরি এবং গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের তথ্য রয়েছে, আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের কাছে এমনটাই জানাল সিবিআই। আইনজীবীরা জানান, সোমবার বিকাশের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। পাশাপাশি, বিচারক তাঁর নির্দেশনামায় বিকাশের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের পেশ করা বেআইনি লেনদেনের কথা উল্লেখ করেছেন বলে আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ এই মুহূর্তে আসানসোল সংশোধানাগারে রয়েছেন। আগামী ৬ মে তাঁকে দু’টি মামলার শুনানির জন্য আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করার কথা। এরই মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ তাঁর মক্কেল বিকাশের জামিনের আর্জি জানান। সে আবেদনের প্রেক্ষিতেই সোমবার শুনানি হয়েছে। আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই আদালতকে জানায়, বিকাশ তাঁদের হেফাজতে থাকাকালীন তদন্ত চালিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে। সে সংক্রান্ত তথ্য আদালতে পেশও করা হয়। এ দিকে, সোমনাথ তাঁর মক্কেলের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে জামিন চান। সোমনাথ বলেন, “আমরা জামিনের আবেদন করেছিলাম। বিচারক তা খারিজ করেছেন।”

এ দিকে, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের কয়লা পাচারের টাকা মূলত তাঁর ভাই বিকাশের মাধ্যমেই বিভিন্ন জনের কাছে পাঠানো হত। বিনয় এই মুহূর্তে ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছেন। বিনয়কেও ২০ জুনের মধ্যে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। যদি এই সময়ের মধ্যে বিনয় আদালতে হাজির না হন, তবে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

প্রায় ১০২ দিন সিবিআই হেফাজতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল এবং প্রেসিডেন্সি জেলে কাটিয়ে বিকাশকে গত ৮ এপ্রিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ওই দিন সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে আর হেফাজতে চাওয়া হয়নি। তবে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। বিচারক তাঁকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান। কিন্তু ৮ এপ্রিলই বিকাশকে গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিচারকের কাছে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতে পাঠান।

নির্দিষ্ট সময়ের শেষে, ১৮ এপ্রিল বিকাশকে আদালতে তোলা হয়। বিকাশকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলায় গত ২২ এপ্রিল বিকাশকে আদালতে তোলা হলেও শুনানি হয়নি। ৬ মে তাঁকে ফের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement