Chef

চোখ বেঁধে রেঁধে যান হাক্কা নুডলস-মোমো, দুর্গাপুরে নেপালি শেফের রান্না খেতে, দেখতে ভিড়

রোজ সন্ধ্যায় দোকানে দাঁড়িয়ে চোখ বেঁধে রান্না করে যান একের পর এক চাইনিজ পদ। চোখ বাঁধা থাকলেও তাঁর হাতে তৈরি সব পদের স্বাদ হয় একেবারে ঠিকঠাক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:০৩
Share:

শুধু খেতে নয়, সুভাষের রান্না দেখতেও জড়ো হন বহু মানুষ। — নিজস্ব চিত্র।

রান্না এখন তাঁর বাঁ-হাতের খেল। চোখ বুজেও অনায়াসে করে ফেলতে পারেন। আর তা-ই করে যান সুভাষ বাহাদুর ছেত্রী। চোখ বেঁধে রেঁধে ফেলেন হংকং হাক্কা নুডলস থেকে ফ্রায়েড মোমো। সেই রান্নার স্বাদ চাখতে রোজ দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে জড়ো হন বহু ভোজনবিলাসী। শুধু খেতে নয়, সুভাষের রান্না দেখতেও জড়ো হন বহু মানুষ। অদ্ভুত এই রন্ধনশৈলীর ছবিও তোলেন ক্রেতারা।

Advertisement

দুর্গাপুরের বেনাচিতির অগ্রণী মোড়ের কাছে রয়েছে একাধিক খাবারের দোকান। তার মধ্যেই একটি দোকানে রান্না করেন সুভাষ। রোজ সন্ধ্যায় দোকানে দাঁড়িয়ে চোখ বেঁধে রান্না করে যান একের পর এক চাইনিজ পদ। চোখ বাঁধা থাকলেও তাঁর হাতে তৈরি সব পদের স্বাদ হয় একেবারে ঠিকঠাক। কোনও পদে নুন বেশি বা ঝাল কম, এ রকম অভিযোগ কখনও করেননি ক্রেতারা।

সুভাষের জন্ম নেপালে। এখন পাকাপাকি ভাবে দুর্গাপুরেই থাকেন। ১৬ বছর বয়স থেকে রান্না করছেন তিনি। গত ২২ বছর ধরে চাইনিজ রেঁধে আর কোনও ভুল হয় না তাঁর। যদিও প্রথম দিকে হত। এ কথা জানিয়েছেন দোকানের মালিক। তিনি আরও জানিয়েছেন, সুভাষের কাছে রান্না পেশা নয়। নেশা হিসাবে তিনি দেখেন রান্নাকে। ক্রমেই দুর্গাপুরে জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি। এখন সুভাষের হাতের রান্না চেখে দেখতে দুর্গাপুরে রোজ ভি়ড় জমান বহু ক্রেতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement