পূর্বস্থলীর চুপির চরে চলছে পরিযায়ী পাখি গণনা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
পক্ষীগণনার কাজ শুরু হল পূর্বস্থলীর চুপির ছাড়িগঙ্গায়। বন দফতরের প্রাথমিক হিসেব, সেখানে রয়েছেপ্রায় ১১ হাজার পরিযায়ী পাখি। নজরে এসেছে বেশ কিছু নতুন প্রজাতির পাখিও।
শনিবার সকালে বন দফতরের কাটোয়া রেঞ্জ-এর আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিংহের নেতৃত্বে ১৫ জন চারটি নৌকায় ভাগ হয়ে গণনা শুরু করেন। ক’টি প্রজাতির পাখি জলাশয়ে রয়েছে তা খাতায় নোট করেন তাঁরা।
এ বার কালনার ছাড়িগঙ্গায় প্রচুর পরিযায়ী পাখির দেখা মিলেছে। বনকর্মীদের একাংশ মনে করেছিলেন, খাবার এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে চুপি পাখিরালয়ের কিছু পাখি কালনার ছাড়িগঙ্গায় এসেছে। কাটোয়ার রেঞ্জার জানান, সম্পূর্ণ হিসেব কষা সম্ভব না হলেও চুপির পাখিরালয়ে গতবারের মতো এ বারও কম-বেশি ১১ হাজার পাখির সন্ধান মিলেছে। এই পরিসংখ্যান দেখে তাঁদের মনে হয়েছে, এ বার বাইরের পাখিরা ভিড় জমিয়েছে কালনার ছাড়িগঙ্গায়। আজ, রবিবার, ওই জলাশয়ে পক্ষীগণনা হবে। তিনি জানান, চুপি থেকে নদিয়ার দিকে যাওয়ার একটি অংশের জলে কিছুটা দুর্গন্ধ হয়েছে। ওই অংশে বেশ কিছু রঙিন পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। তাদের স্বার্থে ওই অংশের জল পরিষ্কার করতে হবে। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হবে। বিডিও (পূর্বস্থলী২) সৌমিক বাগচী জানান, এ নিয়ে বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা হবে। বনকর্মীদের একাংশের মত, পাখিদের খাবারের অভাব না হলেও চুপির ছাড়িগঙ্গায় জলের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। জলাশয়ের দু’ধারে বেড়েছে চাষের এলাকা।
গণনার কাজে আসা বন দফতরের কর্মী রাজেন চন্দ্র বলেন, ‘‘৬০টির বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে চুপিতে। প্রিনিয়া, ব্লাক উইন স্টিল, হোয়াইট বোর্ডার ককটেল, ইস্টার্ন মার্স, হেরিয়ারের মতো কিছু প্রজাতির পাখি এ বার প্রথম দেখা গিয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে কিছু সময় লাগবে।’’