Damodar River

মেলেনি পাকা সেতু, বর্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দামোদর পার করতে হচ্ছে জামালপুরবাসীকে

বাম জমানা থেকেই পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন জামালপুরের বাসিন্দরা। তা আজও না হয়ে ওঠায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামালপুর শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২১ ০১:৩০
Share:

দামোদর পারাপারের দৃশ্য।

বর্ষায় বে়ড়ে গিয়েছে দামোদরের জলস্তর। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদ পারাপার করতে হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বাসিন্দাদের। অমরপুর ও শম্ভুপুরের ফেরিঘাট দিয়ে নৌকায় চড়ে ভরা দামোদর পারাপার করছেন যাত্রীরা। বাম জমানা থেকেই পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন জামালপুরের বাসিন্দরা। তা আজও না হয়ে ওঠায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।

Advertisement

অমরপুর ফেরিঘাট থেকে দামোদর পার হয়ে খুব সহজেই হুগলির চাঁপাডাঙা পৌঁছনো যায়। দুই পাড়ের মানুষই প্রত্যেকদিন এই পথে যাতায়াত করেন। ওই এলাকার বাসিন্দা দীপক অধিকারী বলেন , ‘‘ভোট আসে, ভোট যায় । কিন্তু আমাদের দুর্ভোগের দিন আর শেষ হচ্ছে না। প্রতি বর্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আমাদের দামোদর পারাপার করতে হয় । এই সময়ে চাঁপাডাঙা পৌঁছনো দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। প্রায় ২০-২৫ কিমি পথ ঘুরে তবে চাঁপাডাঙা পৌঁছতে হয় । পাকা সেতু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’ তপন পাল নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সেই বাম আমল থেকে জ্যোৎশ্রীরাম, হুগলির চাঁপাডাঙ্গা ও জামালপুর বিধানসভা এলাকার মানুষেরা অমরপুরে দামোদরের উপরে পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন। সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি।’’

শম্ভুপুরেও দামোদরের উপর পাকা সেতুর দাবি বহুদিন ধরেই জানাচ্ছেন সেখানার মানুষ। অমরপুর ঘাট থেকে শম্ভুপুর ফেরিঘাটের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিমি । শম্ভুপুর ঘাট পেরিয়ে রায়না, খণ্ডঘোষ-সহ জামালপুরের সর্বত্র সহজেই পৌঁছনো যায়। একই ভাবে এইসব এলাকার বাসিন্দারা শম্ভুপুর ঘাট পেরিয়ে বড়শুলে পৌঁছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠে বর্ধমান শহরে যেমন যেতে পারেন, তেমনি দুর্গাপুর ও আসানসোলের দিকেও সহজে যাতাযাত করা যায়। বছরের অন্যান্য সময়ে বাঁশের মাচা দিয়ে অস্থায়ী সেতু তৈরি চলাফেরা করা হয়। সমস্যা তৈরি হয় বর্ষাকালে। তখন নৌকাই দামোদর পারাপারের একমাত্র উপায়। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান ও বিধায়ক অলোক মাঝি জানিয়েছেন ,“অমরপুর এলাকায় দামোদরের উপরে পাকা সেতু তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement