কারখানার গেটে সিটু এবং আইএনটিইউসি-র সভা। নিজস্ব চিত্র
দূষণ ও নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ এসেছে রাজ্য সরকারের সংস্থা ‘দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেড’ (ডিসিএল)-এ। দ্রুত উৎপাদন চালুর ব্যবস্থা করার দাবিতে সরব হল বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। মঙ্গলবার কারখানার গেটে বিক্ষোভ-সভা আয়োজন করে এই দাবি জানানো হয়।
১৯৬৩ সালে গড়ে ওঠা এই কারখানায় ১৯৬৮ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ফেনল, কস্টিক সোডা, ক্লোরিন, বেঞ্জিন-সহ বেশ কিছু রাসায়নিক ও তাদের উপজাত সামগ্রী উৎপাদন হত কারখানায়। দীর্ঘদিন লোকসানে চলার পরে ২০১৬ সালে কারখানার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তার পর থেকেই কারখানার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে পড়েন শ্রমিক-কর্মীরা। তবে উৎপাদন চলছিল।
সোমবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরামর্শ মেনে রাজ্যের শিল্প পুনর্গঠন দফতর দূষণ ছড়ানো ও নিরাপত্তাজনিত কারণে অবিলম্বে উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয়। ওই দফতর থেকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়, উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে ফের উৎপাদন শুরু করা যাবে। কিন্তু আদৌ আর তা হবে কি না, সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন শ্রমিক-কর্মীদের একাংশ।
মঙ্গলবার বিকেলে কারখানার গেটে যৌথ ভাবে সভা করে সিটু এবং আইএনটিইউসি। ছিলেন সিটু নেতা তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়, সংগঠনের জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারেরা। আইএনটিইউসি-র তরফে ছিলেন বিকাশ ঘটক, উমাপদ দাস, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। সন্তোষবাবুর অভিযোগ, ‘‘বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের পর থেকে ডিসিএল চরম ডামাডোলের মধ্যে চলছে। এই পরিস্থিতিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরামর্শে কারখানায় উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।’’ উমাপদবাবু দাবি করেন, ‘‘অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে উৎপাদন ফের চালু করার ব্যবস্থা হোক।’’ কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, শিল্প পুনর্গঠন দফতরের নির্দেশমতো পদক্ষেপ করা হচ্ছে।