২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে স্কুল চত্বরেই এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে আসানসোলের রেলপাড় এলাকায় রহমানিয়া উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ওয়াজউদ্দিন জামাল নামে ওই শিক্ষককে মারধরে নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা শহরের প্রাক্তন কাউন্সিলরের।
তৃণমূল ও স্কুলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদের জন্য মনোনীত হয়েছেন এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর গোলাম সরওয়ারের ঘনিষ্ঠ গোলাম মইনুদ্দিন সোনা। সরকারি নির্দেশিকা আসার পরেও সেই চিঠি তাঁকে দেওয়া হয়নি। বুধবার তা নেওয়ার জন্য সদলবলে স্কুলে যান গোলাম সরওয়ার ও মইনুদ্দিন।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, এ দিন প্রধান শিক্ষক সুজাদ হুসেন স্কুলে আসেননি। প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসেননি কেন, সে প্রশ্ন তুলে চেঁচামেচি শুরু করেন তাঁরা। সেই সময়ে অঙ্কের শিক্ষক জামাল ক্লাস থেকে বেরিয়ে জানান, এ ভাবে চেঁচামেচি করায় পড়াশোনায় অসুবিধে হচ্ছে। সে নিয়ে তাঁর সঙ্গে বচসা বাধে বহিরাগতদের। তার পরেই মারধর করা হয় তাঁকে।
গোলমাল চলার সময়েই স্কুলে পৌঁছয় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। ওই শিক্ষকের দাবি, পুলিশের সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়। খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। পুলিশ অবশ্য জানায়, অশান্তির খবর পেয়ে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়েছে।
আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।’’