বৈধ খনিতে অবৈধ ভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে নারায়ণকুড়িতে তিন জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। বিজেপি যদিও প্রথম থেকেই দাবি করছিল, দেহ লোপাট করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আদতে সাত জন। সেই বিষয়টিই রবিবার ফের উস্কে দিয়ে বিজেপির তালিকা অনুযায়ী সাত জন মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, তিনি সিবিআই তদন্তের পরেও কয়লার বেআইনি কারবার বন্ধ হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন। তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধেও। তৃণমূল কোনও অভিযোগেই আমল দেয়নি।
নারায়ণকুড়িতে শুভেন্দু দাবি করেন, “সাত জনের মৃত্যু হলেও তিন জন দেখানো হয়েছে। তিন জনকে দু’লক্ষ টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। বাকি চারটি পরিবারকে সরকার অনুদান দেয়নি। অথচ, পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে দেহ দাহ করিয়েছে। তৃণমূলের নেতারা বিপদ বুঝে বাকি ওই চারটি মৃতের পরিবারকে খামে ভরে কিছু টাকা দিয়েছেন।”শুভেন্দু হতদরিদ্র মানুষের অবৈধ কয়লার কারবারে জড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে বিভিন্ন খোলামুখ খনিতে স্থানীয় পর্যায়ে তাঁদের নিয়োগের দাবি জানান। পাশাপাশি, সরব হন কয়লার অবৈধ কারবার নিয়েও। বলেন, “এই সিন্ডিকেট এত বড় যে, সিবিআই তদন্তের পরেও তা বন্ধ হয়নি। পুলিশ, তৃণমূল, সিন্ডিকেট এক সঙ্গে এই কাজ করছে।”
এ দিনই শুভেন্দু দুর্গাপুরের এসবি মোড় লাগোয়া এলাকায়, বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দ্বারা আয়োজিত জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। পাশাপাশি, দুর্গাপুরের পুর-পরিষেবা বেহাল এবং ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়েও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, “দুর্গাপুরের মানুষ যে ভাবে পরিষেবা থেকে, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সে জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করে গেলাম।”
যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। নারায়ণকুড়ি প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, “বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। উনি কিছু না জেনে ভিত্তিহীন কথা বলছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।” পাশাপাশি, দুর্গাপুরের পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস-চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “বিরোধী দলনেতা জানেন না যে, শহরের পুর-পরিষেবা অত্যন্ত সুষ্ঠু ভাবেই সব দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুরসভা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।”