মন্ত্রীর সঙ্গে সুজাতা। নিজস্ব চিত্র।
অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগদানের পরে, মঙ্গলবার দলের প্রথম কোনও জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সে সভার পাল্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বিশ্বরম্ভা ফুটবল মাঠে সভা করল তৃণমূল। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে এই প্রথম কোনও সভায় হাজির হলেন সুজাতা মণ্ডল খাঁ।
মঙ্গলবার পূর্বস্থলীর ছাতনিতে সভা করেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষেরা। এ দিনের পাল্টা সভায় সুজাতা ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য, রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন দেবনাথেরা। সুজাতা বলেন, ‘‘আমার লড়াই অত্যন্ত কঠিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লড়াই করব। যত দিন যাবে, বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী-উপ মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার বাড়বে। তৃণমূল থেকে বেনোজল বেরিয়ে যাচ্ছে।’’
নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িত লোকজন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন দাবি করে শুভেন্দুর প্রতি এ দিন কুণালের প্রশ্ন, ‘‘আপনি তো জননেতা, তা হলে ভোটে দাঁড়াবেন না বলছেন কেন!’’ ছাতনিতে বিজেপির সভার মঞ্চে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে একটি সিংহাসনে ও শুভেন্দু অধিকারীকে সাধারণ চেয়ারে বসতে দেখা গিয়েছিল। এ দিন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতারা। দলের অন্যতম রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডুর দাবি, ‘‘ওই ছবি দেখে মনে হয়নি, আমাদের দল থেকে যিনি গিয়েছেন, তাঁকে বিজেপি কোনও সম্মান দিয়েছে।’’
রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ সভার ভিড়ের কথা উল্লেখ করে দাবি করেন, ‘‘সভাস্থলই প্রমাণ করছে, পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা এলাকা তৃণমূলের ঘাঁটি।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা তপন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এলাকার প্রায় পঁচিশ হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক সভায় এসেছিলেন।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য রাজীব ভৌমিকের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের দলে রাজ্যে সবচেয়ে বড় পদাধিকারী রাজ্য সভাপতি। মঙ্গলবারের সভায় তাই তাঁকে সে ভাবে সম্মান দিয়েছিলেন কর্মীরা। শুভেন্দুবাবু সভায় নিজেই জানিয়েছেন, তিনি সাধারণ কর্মী হিসেবে এসেছেন। বিজেপি কাউকে অসম্মান করে না।’’