বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে সোমবার ফের বিক্ষোভে তেতে উঠল আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যকে তাঁর চেম্বারে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে। পরে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে এক সপ্তাহের সময়সীমা দিয়ে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি পাঠ্যক্রম আইন, মেটেরোলজি ও মাইনিং বিভাগের বর্ধিত ফি কমানোর দাবি জানিয়ে শুরু হয়েছে ছাত্র-বিক্ষোভ। গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ক্ষোভ জানাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। সে দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেম্বারে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তালা খুলে দেওয়া হলেও রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখা হয়। শুক্র থেকে রবিবার পর্যন্ত উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। কিন্তু ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যান। সোমবার উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পরেই ফের বিক্ষোভ চরমে ওঠে।
এ দিন দুপুর ২টো থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা। বিকেল ৩টে নাগাদ বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যের চেম্বারের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। এ দিনও কার্যত উপাচার্যকে চেম্বারে বন্দি করে রাখা হয়। উপাচার্য রেজিস্ট্রারকে চেম্বারে ডাকেন। প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপাচার্য। ছাত্র সংগঠনের তরফে বর্ধিত ফি কমানোর দাবি তোলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়। একটি ‘ফিজ় রিভিউ কমিটি’ তৈরি করে দেওয়ার কথাও জানানো হয়। পড়ুয়ারা ওই তারিখের মধ্যেই বেতন কমানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়সীমা দিয়ে বিক্ষোভ তুলে নেন।
টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় জানান, আইন বিভাগের ফি সিমেস্টার পিছু সাড়ে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে এবং মাইনিং ও মেটেরোলোজি বিভাগের ফি কমানোর দাবি করা হয়েছে। অভিনব বলেন, ‘‘এর অন্যথা হলে ফের বিক্ষোভ-অবস্থান হবে।’’ উপাচার্য বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের আবেদন বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।’’ তিনিআরও জানান, আইন বিভাগের ফি আগেই সাড়ে ১৯ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। পড়ুয়াদের সে কথা বোঝানো হয়েছে। পড়ুয়ারা পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি তুললে তা বেশি গ্রহণযোগ্য হত, জানান উপাচার্য।