আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র।
গোটা রাজ্যের সঙ্গে শনিবার পশ্চিম বর্ধমানেও শনিবার শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিনের পরীক্ষায় মোট অনুপস্থিত ছিলেন ৪৩৩ জন। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে জেলায় দেখা গিয়েছে ‘মানবিক মুখ’-এর ছবিও। সে সঙ্গে, অফলাইনে পরীক্ষা দিতে পেরে তাঁরা খুশি বলেও জানিয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির পশ্চিম বর্ধমানের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব মুখোপাধ্যায় জানান, শনিবার পরীক্ষার প্রথম দিনে, মোট ৯,৯৮৩ জন ছাত্র এবং ১১,৮৬৫ জন ছাত্রীর মধ্যে যথাক্রমে অনুপস্থিত ছিলেন ১৮৮ জন এবং ২৪৫ জন। মোট ৪৩৩ জন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর মধ্যে আসানসোলে ২৫৮ জন এবং দুর্গাপুরে ১৭৫ জন ছিলেন। তবে ১৮২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্বিঘ্নেই প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, জানান জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুনীতি সাঁপুই। সে সঙ্গে, প্রতিটি কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, মাস্কের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখা হয় বলে দাবি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দুর্গাপুরের সংযোজক কলিমুল হক বলেন, “প্রশাসনের তরফে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনের পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে।” পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের উপযুক্ত দূরত্ববিধি বজায় রেখেই বসানো হয়েছিল। পুলিশ পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাস্তায় যাতে যানজট না হয়, তা নিশ্চিত করেছিল।
অফলাইনে পরীক্ষা দিতে পেরে তারা খুশি বলেও জানিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলের পরীক্ষার্থী অভিষেক বার্নওয়াল এবং জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের পরীক্ষার্থী জেসমিন খাতুনেরা বলেন, “বহু দিন পরে এ ভাবে অফলাইন পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ ছিল। তবে ফের আগের মতো পরীক্ষা দিতে পেরে ভাল লাগছে।”
এ দিকে, শনিবার দুর্গাপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগরপল্লির এবিসি ব্লকের, দুর্ঘটনায় জখম এক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্র রামকৃষ্ণপল্লি বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে পৌঁছে দিতে পদক্ষেপ করেন স্থানীয় নাগরিক কমিটির সভাপতি অজিত কুমার শীল এবং ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অজয় দেবনাথ। ওই পরীক্ষার্থী কয়েক দিন আগে দুর্ঘটনায় ডান পা ও ডান হাতে চোট পান। পরীক্ষার অন্য দিনগুলিতেও ওই পরীক্ষার্থীর পাশে তাঁরা থাকবেন বলে জানান দু’জনেই। এ দিন অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলে এসেছিলেন দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি টিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থী। বিষয়টি জানতে পেরে দুর্গাপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার আকাশ ঘোষ মোটরবাইকে করে দ্রুত পরীক্ষার্থীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড আনার ব্যবস্থা করেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেও দেওয়া হয়।