কুলটির ডুবুরডিহি চেকপোস্টে তল্লাশি। ছবি: পাপন চৌধুরী
আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে বেশ কয়েক হাজার মানুষ যোগ দিতে যাবেন বলে দাবি বিজেপির। এই অভিযানের আয়োজক হিসেবে সামনের সারিতে বিজেপি না থাকলেও, যোগ দিতে যাওয়ার জন্য দলের তরফে প্রচার চালানো হয়েছে বলে নেতা-কর্মীদের অনেকেই স্বীকার করছেন। সোমবার ঝাড়খণ্ড সীমানায় কড়া নজরদারি চালায় পুলিশ। দুষ্কর্মের অভিসন্ধি নিয়ে কেউ যাতে ভিন্ রাজ্য থেকে ঢুকতে না পারে, সে জন্য তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
দুর্গাপুর থেকে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে যাবেন বলে সোমবার দাবি করেন বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সকাল থেকে মূলত ট্রেনেই তাঁরা যাবেন। তাঁর কথায়, “স্টেশনে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা থাকবেন। ছাত্র সমাজের কাউকে যদি বাধা দেওয়া হয় তাহলে প্রতিরোধ হবে।” বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর থেকে ৮টা ৪০ মিনিটের লোকাল ট্রেন ধরে বর্ধমান এবং সেখান থেকে ১০টা ৫ মিনিটের লোকাল ধরে হাওড়া যাবেন অনেকে। এ ছাড়া, মুম্বই মেল ধরেও অনেকে যাবেন।
বিজেপি নেতাদের দাবি, এই অভিযান সরাসরি দলের কর্মসূচি নয়। তবে জেলায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ আছে। অনেকে নিজের উদ্যোগেই যাবেন বলে দাবি বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের। দলের আসানসোল সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শ্রীদীপ চক্রবর্তীর দাবি, আসানসোল লোকসভা এলাকা থেকে হাজার দুয়েক দলীয় কর্মী-সমর্থক যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁরাও ট্রেনেই রওনা হবেন। বিজেপি নেতাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত জেলায় কোনও তরফে অভিযানে যেতে বাধা দেওয়ার খবর মেলেনি। দলের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
নবান্ন অভিযানের আগের দিন, সোমবার কড়া নজরদারি চলল ঝাড়খণ্ড সীমানায়। ডুবুরডিহি চেকপোস্টে কুলটির চৌরঙ্গি ফাঁড়ির পুলিশ ও কুলটি ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে নাকা তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাড়ি ও মোটরবাইকে তল্লাশি ও কে কোথা থেকে আসছেন, গন্তব্য কোথায় সে সব তথ্য জানা হয়েছে।