নিজস্ব চিত্র।
কাঁচা বাদামের ছন্দে কোমর দোলাননি, ভূ-ভারতে এমন মানুষ কমই আছেন। বস্তুত, তার পরেই ভুবন বাদ্যকরের জীবন আমূল পাল্টে গিয়েছে। সেই আবহেই হাজির আর এক বাদ্যকর। তিনি কুশল। তবে বাদাম নয়, গানের জাদুতে মাছ বিক্রিই তাঁর ‘ইউএসপি’।
শুধু কি গান, কোন মাছ কী ভাবে রাঁধলে খেতে বাড়তি মজা, গানের তালে তা-ও জানিয়ে দেবেন কুশল। ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে কুশলের ‘মাছ নেবেন দাদা, মাছ নেবেন’ গানটি।
বছর সাতচল্লিশের কুশলের বাড়ি দুর্গাপুর পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শোভাপুরে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্ত্রী সুমিত্রাকে নিয়ে ছোট্ট সংসার চলে মাছ বিক্রি করে। পাশাপাশি কুশলের আবার গানের নেশা। দুয়ে মিলে আপাতত সুপারহিট কুশল মাছওয়ালা।
বাবা সুবল বাদ্যকর ছিলেন বেহালাশিল্পী। দাদু নগেন্দ্রনাথ বাদ্যকর খোল বাজাতেন। সেই সূত্রে কুশলও ছোট থেকেই গান বাজনায় আকৃষ্ট। ১০ বছর বয়স থেকে রেডিয়ো এবং টিভি থেকে শুনে শুনে গান শিখতেন। কীর্তনের অনুষ্ঠানে গিয়ে কীর্তন গেয়ে গানের দুনিয়ার প্রথম পা রাখা। তার পর লোকগীতির তালিম নেন। ভালই চলছিল গান গেয়ে। কিন্তু লকডাউনে অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতেই পড়েন অকূলপাথারে। যে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন, সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর মাছ বিক্রির পেশায়। মোটরবাইকে প্লাস্টিকের ঝুড়িতে মাছ নিয়ে জায়গায় জায়গায় ফেরি করে বেড়ান কুশল। মানুষকে টানতে বেঁধে ফেলেছেন একাধিক গান। সেই গানেই হাতেগরম পাওয়া যাবে, কোন মাছ, কী ভাবে রাঁধলে আঙুল চাটবে বাড়ির লোক।