পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
পাথরের গুঁড়ো ফেলে রাস্তার খন্দ ভরাট করা হয়েছে। তার ফলে, হাওয়া দিলেই গুঁড়ো উড়ে বিপত্তি তৈরি হচ্ছে। নিয়মিত জল ছেটানোর দাবিতে শনিবার চার ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে জামুড়িয়া যাতায়াতের সংযোগকারী রাস্তার চাঁদা নজরুল মঞ্চের কাছে অবরোধটি হয়। জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিংহের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামে। রাস্তা অবরোধের জেরে নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আট কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাস্তাটি জামুড়িয়ার সঙ্গে আসানসোল, কলকাতা-সহ বিভিন্ন রুটে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জামুড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ চাঁদা মোড়ে জাতীয় সড়কে দূরপাল্লার বাস ধরেন। কিন্তু চাঁদা মোড় থেকে জামুড়িয়া অভিমুখে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা খন্দে ভরেছে। কয়েক দিন আগে পূর্ত দফতর রাস্তা সংস্কারের নামে পাথর গুঁড়ো ফেলেছে বলে দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দা বীণা মুখোপাধ্যায় জানান, পাথরের গুঁড়ো ফেলে লাভ হয়নি। বিপত্তি হয়েছে। গুঁড়ো হাওয়ায় উড়ছে। বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে। টোটো-য় করে কর্মস্থলে যেতেও সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রমোদ মজুমদার বলেন, “এ ভাবে গুঁড়ো যাতে না ওড়ে, সে জন্য দৈনিক রাস্তায় জল ছেটাতে হবে।” বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, রাস্তাটি দিয়ে ইসিএলের খোলামুখ খনির কয়লা পরিবহণ করা হয়। আর তার ফলে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। ইসিএলের কাছে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে সংস্থার পরিবহণ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ইসিএলের বক্তব্য মেলেনি।
জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিংহ জানান, রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে। চাঁদা-সহ বিভিন্ন অংশে তা ভেঙে গিয়েছে। পুজোর পরে রাস্তাটির আমূল সংস্কার করা হবে। পুজোর সময়ে বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে আপাতাত রাস্তাটি সংস্কার করা হচ্ছে। দৈনিক তিন বার রাস্তায় জল ছেটানো হবে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটির আমূল সংস্কারের জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। দ্রুত ঠিকা সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হবে।