ফাইল চিত্র।
জাল নোট তৈরির কারখানার হদিশ মেলার পরেই খাগড়াগড়ে পৌঁছে গেল রাজ্যের তদন্তকারী দল। বৃহস্পতিবার কারখানার হদিশ পাওয়ার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মাঠপাড়া এলাকায়। এর পর শুক্রবারই পৌঁছে যায় সিআইডি দল। তল্লাশি চালানো হয় ওই কারখানায়। তল্লাশির চালানোর পর কারখানাটি ভিতর থেকে বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। এর পর স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা।
কারখানার হদিশ মেলার পাশাপাশি তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। ধৃতদের মধ্যে এক জনের নাম দীপঙ্কর চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাকি দুই ধৃত গোপাল সিংহ এবং বিপুল সরকার বর্ধমান শহরের বাসিন্দা। ৪-৫ মাস আগে পূর্ব পাড়ায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নেন গোপাল। তাঁর সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী, শাশুড়ি ও একজন পরিচারিকা। গোপালের বাড়ির পাশেই রয়েছে ওই কারখানা। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, গোপালের বাড়িতে পরিচারিকা ছাড়া আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রতিবেশীদের থেকেও পুলিশ জানতে পারে, বাড়ির ভাড়াটিয়াদের আচরণে তেমন কিছু লক্ষ করেননি তাঁরা। এক মহিলার মানসিক সমস্যা ছিল। তা নিয়ে চেঁচামেচি হত। তবে বাইরের লোক কখনও আসতে দেখেননি তাঁরা। পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘ধৃতদের কাছ থেকে১২ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট এবং নোট তৈরির ডাইস, পাউডার, রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে। জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, ধৃতেরা কত দিন ধরে এই জাল নোট তৈরির সঙ্গে যুক্ত। আর এদের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত আছে। এ ছাড়া কত টাকার জাল নোট শহরে ছড়ানো হয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করছি।’’