আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষিত বেকারদের স্পঞ্জ আয়রন, ইস্পাত কারখানা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের শ্রম দফতর। শুক্রবার আসানসোলে এসে এমনটা জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। এ বিষয়ে আঞ্চলিক শ্রম কমিশনার ও কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রগুলিকে প্রয়োজনীয় প্রকল্প তৈরির পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
এ দিন আসানসোলের শ্রম ভবনে আয়োজিত আসানসোল জ়োনের যুগ্ম কমিশনার এবং আঞ্চলিক কমিশনার-সহ কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে পাট শিল্পে এই মুহূর্তে ৭০ হাজার থেকে এক লক্ষ লোক নিয়োগ করতে হবে। এই শিল্পে কাজ করতে যাঁরা আগ্রহী, তেমন বেকারদের রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২০ অগস্টের মধ্যে প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ শ্রম দফতর এ-ও জানিয়েছে, শিল্পোদ্যোগীরা পাট শিল্পে রাত-‘পালি’তে (নাইট শিফ্ট) মহিলা কর্মীদের কাজ করানোর জন্য আর্জি জানিয়েছেন। শিল্প-আইনে বিষয়টি নিয়ে নিষেধ থাকলেও, এ প্রসঙ্গে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।
বেচারামবাবু বলেন, ‘‘পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রচুর শিল্প রয়েছে। সেখানে কর্মসংস্থানের জন্য বেকারদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’ তাঁর নির্দেশ: ‘‘শিল্পোদ্যোগীরা কারখানা স্থাপনে আগ্রহী হলে তাঁদের দ্রুত প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দিতে হবে।’’
বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গেও বৈঠক করেন মন্ত্রী। সেখানে আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী প্রমুখ জেলার শ্রম-ক্ষেত্রে শ্রমিকের স্বার্থ লঙ্ঘন, কোভিড-পরিস্থিতিতে ছাঁটাই-সহ বেশ কিছু অভিযোগ করেন। বংশগোপালবাবুর অভিযোগ, ‘‘অনেক সময়েই মালিক পক্ষ বেতন-চুক্তি লঙ্ঘন করছেন।’’ বন্ধ কারখানার জমিতে প্রোমোটারি করা যাবে না, এমন দাবিও জানায় সিটু। তবে মন্ত্রী এ দিন দাবি করেন, ছাঁটাইয়ের কোনও অভিযোগ
এখনও আসেনি।