Katwa

২৪ ঘণ্টা জলে ডুবে কাটোয়ার শ্রীরামপুর গ্রাম!

শনিবার দুপুরে সমস্ত বিভাগের সঙ্গে কথা বলে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একটি ছোটো নৌকার ব্যবস্থা করেন কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ২৩:২৭
Share:

ব্রাহ্মণী নদীর প্রবাহে ভেসে গিয়েছে চারিদিক। —নিজস্ব চিত্র।

প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে জলবন্দি অবস্থায় রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম। ব্রাহ্মণী নদীর প্রবাহে ভেসে গিয়েছে চারিদিক। গ্রামে আসা-যাওয়ার রাস্তাও জলের তলায়। কার্যত মাঝ নদীতে আটকে রয়েছে প্রায় ১০০টি পরিবার।

Advertisement

শনিবার দুপুরে সমস্ত বিভাগের সঙ্গে কথা বলে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একটি ছোটো নৌকার ব্যবস্থা করেন কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিক। সেই নৌকা রওনা দেওয়ার আগেই সেখানে শুকনো খাবার নিয়ে পৌঁছন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। মুড়ি, বিস্কুট, চাল-সহ আরও কিছু শুকনো খাবার গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে দিতে সেই ছোট নৌকা করেই জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা-সহ তিন জন শাসক নেতা শ্রীরামপুর গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন।

বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘আমরা আপাতত কিছু শুকনো খাবার নিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে যাচ্ছি। সেই খাবার তাঁদেরকে দিয়ে ফিরে আসব। এর পর পরিস্থিতি অনুযায়ী এক এক করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হবে। প্রয়োজন হলে বিধায়ক সাহেবকে বলব একটি বড়ো নৌকা বা স্পিড বোটের ব্যবস্থা করার জন্য।’’ যদিও বিডিও ও মহকুমাশাসকের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়েরা। প্রতিশ্রুতি দিয়েও নৌকা পাঠাতে পারেননি বিডিও, এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।

Advertisement

কাটোয়া ১ ব্লকের বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিক বলেন, ‘‘কাল অবধি প্রচুর স্রোত ছিল। তাই নৌকা নামানো যায়নি। আজ স্রোত কমায় উদ্ধার কাজের জন্য নৌকা নামিয়েছি। এখন কী ভাবে ওই ১০০টি পরিবারকে উদ্ধার করা হবে, সেই দিকেই তাকিয়ে প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement