Road Accident

বার বার দুর্ঘটনা, তরজা পুলিশ ও সড়ক কর্তৃপক্ষে

সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছ’মাসে চৌরঙ্গি, বামনামোড়, মেলেকোলা ও আসানসোল উত্তরের শীতলা মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৩৯
Share:

এখানেই বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র

ক্রমশ দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠছে চৌরঙ্গি পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন এলাকা। এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর একাংশের। গত ছ’মাসে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে মতপার্থক্যও দেখা গিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠকও হয়।

Advertisement

সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছ’মাসে চৌরঙ্গি, বামনামোড়, মেলেকোলা ও আসানসোল উত্তরের শীতলা মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি চৌরঙ্গি ফাঁড়ি লাগোয়া এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় তিন জন জখম হন। ডাব বোঝাই পিক-আপ ভ্যানের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। মেলেকোলায় অটোর সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ হারান এক যাত্রী। পুলিশকর্তারা জানান, চৌরঙ্গি ফাঁড়ি লাগোয়া সেতু ও সার্ভিস রোড তৈরি এবং মেলেকোলা এলাকায় দু’দিকের লেন তৈরির কাজ অসমাপ্ত থাকায় এই দু’টি অঞ্চল খুবই দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে। জাতীয় সড়ক ধরে দ্রুত গতিতে ছুটে চলা গাড়িগুলি ঠিক মতো দিক নির্দেশ করতে না পেরে দুর্ঘটনা ঘটছে। কমিশনারেটের এসিপি (ট্র্যাফিক) ঈশিতা দত্তের অভিযোগ, মার্চের মধ্যে কাজগুলি শেষ করার কথা ছিল সড়ক কর্তৃপক্ষের। এপ্রিলের মাঝামাঝিও তা হয়নি। অভিযোগ, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় রেডিয়াম স্টিকার ও দিক্-নির্দেশক লাইট বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও সড়ক কর্তৃপক্ষ তা মানেননি। তবে পুলিশের তরফে এগুলি এবং বামনা মোড়ে হাইমাস্ট আলো বসানোর তোড়জোড় চলছে। পাশাপাশি, ঈশিতা বলেন, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে কিছু ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

যদিও, সড়ক কর্তৃপক্ষ পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে চৌরঙ্গি ফাঁড়ি এলাকার দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় নজরদারির অভাবের অভিযোগ করেছেন। চৌরঙ্গি সেতু ও মেলেকোলা এলাকায় সড়কের কাজ চলাকালীন দুর্ঘটনা রোধে উপযুক্ত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ও চালকদের সচেতন করার যে প্রক্রিয়াগুলি পুলিশের করা দরকার, তা হচ্ছে না। ঈশিতার আশ্বাস, “নজরদারি বাড়ানো হবে। সচেতনতা প্রচারেও জোর দেওয়া হচ্ছে।” ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক বারওয়াড্ডা প্রজেক্ট ডিরেক্টর মলয় দত্ত বলেন, “সম্প্রতি পুলিশের সঙ্গে দুর্ঘটনাপ্রবণ অঞ্চলগুলি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। চৌরঙ্গি সেতু ও মেলেকোলার কাজ চলতি মাসে শেষ হবে। বামনা মোড়ে পায়ে হাঁটা সেতু হবে। পুলিশ ও সড়ক কর্তৃপক্ষের যৌথ চেষ্টায় দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement