অনুব্রতকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি। —ফাইল চিত্র।
যে কোনও দিন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
শুক্রবার গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতের জামিন চেয়ে এ দিন আবেদন করেন তৃণমূল নেতার আইনজীবী। অন্য দিকে, সিবিআই আবারও ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’ খাড়া করে বীরভূমের কেষ্টর জামিনের বিরোধিতা করে। অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত সওয়াল করেন, ‘‘সিবিআই তাদের আবেদনে জানিয়েছে, অনুব্রতকে জামিন দিলে রাজ্য প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তদন্তে বাধা দেবেন।’’এর পর তাঁর সংযুক্তি, ‘‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এখনও সেই অবস্থায় পৌঁছয়নি যে এমনটা হবে। রাজ্যের এক জন বাসিন্দা হয়ে আমি অপমানিত বোধ করছি। এই ধরনের আবেদন করা ঠিক হয়নি সিবিআইয়ের।’’ যদিও দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর অনুব্রতকে আবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে আগামী ২৫ নভেম্বর।
এর পর অনুব্রতের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করে ইডি। প্রথমে তারা আবেদনে বলে আগামী ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। ইতিমধ্যে অনুব্রত এবং তাঁর কন্যা তথা ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই প্রেক্ষিতে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার এসে অনুব্রতকে জেরার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক বলেন, ‘‘যে কোনও দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইডির তদন্তকারী অফিসাররা আদালতে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।’’
ইডির আইনজীবী অভিজিৎকুমার ভদ্র বলেন, ‘‘অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে ইডি অনুমতি পেয়েছে। এর আগে অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁদের বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে ইডি মনে করেছে অনুব্রতকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম।’’