প্রতীকী ছবি।
কোনও নোটিস ছাড়াই কয়েকজন অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠল বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ডিভিশনাল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সোমবার কাটোয়ায় মকুমাশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিদ্যুৎ সংস্থাটির সঙ্গে যুক্ত জনা এগারো কর্মী। স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। ডিভিশনাল ম্যানেজার রথীন বিশ্বাস অবশ্য এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস চারেক ধরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাটোয়া ডিভিশনে জনা এগারো অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গাড়িচালক, মিটার পরীক্ষক, মোবাইল ভ্যান সুপারভাইজারেরা। অভিযোগ, কোনও কারণ বা নোটিস ছাড়াই বিভিন্ন অছিলায় দুর্ব্যবহার করে কাজ থেকে বার করে দেওয়া হয়। চালক তপজিৎ ঘোষের দাবি, তিনি কুড়ি বছর ধরে সংস্থার গাড়ি চালাচ্ছেন। আচমকা ছাঁটাই করায় পরিবার নিয়ে পথে বসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ছাঁটাই হওয়া কর্মী অম্বিকাচরণ সরকার, রাজ কুমার ঘোষেদের অভিযোগ, তাঁদের সরিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্য কর্মী নিয়োগ করেছেন ডিভিশনাল ম্যানেজার। জনার্দন সামন্ত নামে এক গাড়ি মালিকের দাবি, ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ও মিঠুন সামন্ত নামে এক চালক কাটোয়ার সাবস্টেশনে মদ্যপ অবস্থায় অবৈধ ভবে ঢোকেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ, চালকদের গাড়ির ডায়েরি অনুযায়ী, সে দিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মিঠুন গাড়ি চালানোয় ব্যস্ত ছিলেন। জনার্দনবাবুর অভিযোগ, ‘‘ডিভিশনাল ম্যানেজার রথীন বিশ্বাস নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ও মিঠুনকে বরখাস্ত করেছেন।’’
সম্প্রতি এই ডিভিশনের ন’জন কর্মী ডিভিশনাল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বর্ধমানের রিজিওনাল কার্যালয়ে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন। দু’জনকে দু’টি ভিন্ন বিভাগে বদলি করে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে রথীনবাবুর বিরুদ্ধে। এর আগেও গাড়ি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। রথীনবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার এ বিষয়ে কিছু বলার এক্তিয়ার নেই।’’
মহকুমাশাসক সৌমেন পাল বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেব।’’ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার দিলীপকুমার বাছাড় বলেন, ‘‘কাটোয়া ডিভিশনের দু’জন চালক ইতিমধ্যে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রথীনবাবু তাঁদের বরখাস্ত করার ব্যাপারে আমার কোনও অনুমতি নেননি। এ ভাবে আচমকা কাউকে কাজ থেকে বার করে দেওয়া যায় না।’’ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।