Andal

উদ্ধার কিছু সামগ্রী, খোঁজ নেই মহিলার

শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ কাজোড়া এরিয়ার জামবাদ খোলামুখ খনি থেকে প্রায় দেড়শো ফুট দূরে পরিত্যক্ত খনি কর্মী আবাসন লাগোয়া ইসিএলের জমিতে ধস নামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অণ্ডাল শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২০ ০৪:২১
Share:

চলছে উদ্ধার কাজ। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

ঘটনার পরে তিন দিন পার। এখনও খোঁজ মেলেনি অণ্ডালের জামবাদে ধস নেমে ভূগর্ভে তলিয়ে যাওয়া মহিলার। তবে ধসে যাওয়া জায়গা থেকে রবিবার রাতে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, কিছু পোশাকের অংশ, ছোট গ্যাস সিলিন্ডার-সহ রান্নার বেশ কিছু সামগ্রী মিলেছে বলে উদ্ধারকারী দল সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ কাজোড়া এরিয়ার জামবাদ খোলামুখ খনি থেকে প্রায় দেড়শো ফুট দূরে পরিত্যক্ত খনি কর্মী আবাসন লাগোয়া ইসিএলের জমিতে ধস নামে। বাড়ি-সমেত তলিয়ে যান শাহনাজ বেগম নামে এক মহিলা। তাঁর স্বামী মিরাজ শেখ কোনও রকমে বাইরে বেরিয়ে আসেন। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ ইসিএলের উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজ শুরু করে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা জানান, তলিয়ে যাওয়া বাড়ির চার দিকে পুকুরের আকারে মাটি কেটে প্রায় চল্লিশ ফুট গভীরে ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে। রবিবার রাতে সেই অংশ থেকে কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করেছেন তাঁরা। তবে মহিলার কোনও হদিস মেলেনি।

ইসিএলের ‘সীতারামপুর মাইন্‌স রেসকিউ স্টেশন’-এর সুপার অপূর্ব ঠাকুর সোমবার জানান, প্রথমে পশ্চিম দিক থেকে মাটি কাটা হয়েছে। তার পরে পূর্ব দিকে মাটি কাটতে গিয়ে দেখা যায়, সে দিকে দেওয়ালের অংশ বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। তাই সেখানে উপর থেকে মাটি কেটে উচ্চতা কমানো হয়েছে। এর পর দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে একটি ঢালু পথ তৈরি করা হয়েছে। ওই পথে তৈরি হওয়া একটি ফাটল থেকে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের প্রতিনিধি ফাটল ধরে নীচে নেমে ধ্বংসাবশেষ থেকে জিনিসগুলি উদ্ধার করেছেন।

Advertisement

অপূর্ববাবু জানান, এর পরে দলের সদস্যেরা সরাসরি নীচে নামতে পারছেন না। কারণ, আবার পূর্ব দিকের দেওয়ালে বেশ কিছু ফাটল তৈরি হয়ছে। সেখান থেকে বিপদ তৈরি হতে পারে। তাই যন্ত্রের সাহায্যে মাটি কেটে সেখানে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানেই শাহনাজের সন্ধান মিলবে বলে তাঁদের আশা। শাহনাজের স্বামী মিরাজ এ দিন বলেন, ‘‘এই ধসপ্রবণ এলাকা ছেড়ে অনেক আগেই চলে যাওয়া উচিত ছিল আমাদের। পুনর্বাসনের আশায় থেকে তা না করার জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটে গেল। এখন আফশোসের শেষ নেই!’’

এ দিন সিপিআই নেতা রামচন্দ্র সিংহ এবং কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি তরুণ রায় এলাকায় আসেন। তাঁদের দু’জনেরই দাবি, এলাকাবাসীকে দ্রুত পুনর্বাসন দিতে হবে। সেই সঙ্গে উদ্ধারকাজ শেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের এক জনকে চাকরিতে নিয়োগ করা হোক। দাবি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস ইসিএল কর্তৃপক্ষের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement