Asansol

আমরা অনাথ, বাবুলের সন্ন্যাসে হতাশ সিধাবাড়ি, ‘অভিভাবক’হীন হয়ে মাথা মোড়ালেন একাধিক যুবক

২০১৪-য় প্রথম বার সাংসদ এবং মন্ত্রী হয়ে সিধাবাড়ি গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন বাবুল। সেই বাবুল রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় গ্রামবাসীদের একাংশ হতাশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২১ ১৪:৫২
Share:

ন্যাড়া হচ্ছেন সিধাবাড়ির কয়েক জন যুবক। নিজস্ব চিত্র।

আশা-নিরাশার দোলাচলে সিধাবাড়ির বাসিন্দাদের একাংশ। কারণ, দিন কয়েক হল রাজনীতির ময়দান ছাড়ার ঘোষণা করেছেন তাঁদের ‘অভিভাবক’ বাবুল সুপ্রিয়। এক সময় এই গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন সাংসদ বাবুল। সোমবার ওই গ্রামের জনা কয়েক যুবক মাথা ন্যাড়া করে জানিয়েছেন তাঁদের ‘অনাথ’ অবস্থার কথা। যদিও, বারাবনির ওই গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়।

Advertisement

২০১৪-য় প্রথম বার সাংসদ এবং মন্ত্রী হয়ে সিধাবাড়ি গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন বাবুল। সেই বাবুল রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় গ্রামবাসীদের একাংশ হতাশ। গ্রামবাসীদের অনেকে মনে করছেন তাঁরা ‘অনাথ’। সোমবার গ্রামের কয়েক জন যুবক মস্তকমুণ্ডনও করেছেন। তাঁদেরই এক জন বিনোদ দাস নামে বলেন, ‘‘গ্রামটা বাবুল দত্তক নিয়েছিলেন। উনি শেষ বার এসেছিলেন ২০১৯ সালে। তার পর আর আসেননি। এখন উনি রাজনীতিতে নেই। আমাদের পাশেও কেউ নেই।’’ মাথা ন্যাড়া করেছেন ওই গ্রামেরই যুবক অমর মণ্ডল। অমর বলেন, ‘‘বাবুল গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন উনি মন্ত্রী নেই। রাজনীতি থেকেও সরে গিয়েছেন। আমরা এখন অনাথ। ভেবেছিলাম, উনি এই গ্রামের জন্য ভাল কাজ করবেন। কিন্তু মাঝপথে ছেড়ে দিলেন। সেই দুঃখে মাথা ন্যাড়া করলাম। এ বার বিধানদার কাছেই যেতে হবে।’’

অমর যে বিধানদার কথা বলছেন তিনি বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অবশ্য দাবি, ‘‘নিজের এলাকায় আমি উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এ বার সিধাবাড়ি গ্রামের উন্নয়নে বরাদ্দের পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তাতে কোনও সমস্যা হবে না। আমি গ্রামবাসীদের পাশেই আছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement