নিজস্ব চিত্র।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়িতে মিলল সাপ। সেই খিচুড়ি যে শিশুরা খেয়েছিল, আতঙ্কে তাদের নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটলেন মায়েরা। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বাগকালাপাহাড় গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বাগকালাপাহাড় গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের পুষ্ঠির জন্য রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না হয়। বেলা ১০টার মধ্যে রান্না শেষ হলে শিশু ও গর্ভবতীরা সেই খিচুড়ি নিয়ে বাড়িতে চলে যান। খিচুড়ি খেতে গিয়ে এক শিশুর অভিভাবকদের চোখ কপালে ওঠে। তাঁরা দেখেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া গরম খিচুড়ির মধ্যে একটি মরা সাপের বাচ্চা। তাঁরা ছুটে গিয়ে অন্য যারা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি এনেছিলেন তাঁদের খবর দেন। যারা ইতিমধ্যেই খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা আতঙ্কে পড়েন।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভয়ে বেশ কয়েকজন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের নিয়ে মায়ের স্থানীয় জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দৌঁড়ান। এক শিশুর মা গৌরী মুদি বলেন,‘‘আমরা না জেনে বাচ্চাকে খিচুড়ি খাওয়াতে শুরু করি। খেতে খেতে হঠাৎ থালায় একটা আস্ত সাপের বাচ্চা দেখতে পাই। এর পরই আমরা শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে আসি।’’ তাঁর মতো আরও অনেকে জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছেন সন্তানকে নিয়ে। চিকিৎসকরা তাদের কিছু ক্ষণ রেখে ছেড়ে দেন।
খবর পেয়েই ব্লকের বিডিও ও সিডিপিও জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে শিশুদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। জামালপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ঋত্বিক ঘোষ বলেন, ‘‘শিশুদের তেমন কোনও অসুস্থতা দেখা যায় নি। তবুও ছয় শিশুকে বেশ কিছুটা সময় পর্যবেক্ষণে রেখে পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।’’
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সবাইকে শো-কজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে ।